ক্যাপিটল বিল্ডিং ও নরেন্দ্র মোদি (Photo Credits: US gov, ANI)

ওয়াশিংটন, ৭ জানুয়ারি: ক্ষমতা ধরে রাখতে একেবারে রাগে অন্ধ হয়ে গিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার জনসভায় সমর্থকদের ক্ষেপিয়ে তুলে বলেছিলেন, লড়াই তাঁরা ছাড়ছেন না। সমর্থকরা নেতার মান রাখতে শেষমেশ ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে (US Capital building) ঢুকে পড়ার চেষ্টা করল। সেই সময় ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ের ভিতরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চূড়ান্ত সিলমোহর দিতে হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভ ও সেনেটের বৈঠক চলছিল। নিরাপত্তা বলয় ভেঙে সেখানেই ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে ট্রাম্পের সমর্থকরা। স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে উত্তেজিত সমর্থকদের মুখোমুখি সংঘর্ষ লেগে যায়। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালায় পুলিশ। এই ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এছাড়াও বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আরও পড়ুন-Kolkata: রাজ্যপাল জগদীপ ধনখরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের হামলায় উত্তাল হয়ে ওঠে আমেরিকার ক্যাপিটল বিল্ডিং চত্বর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এদিন ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ের গোটা এলাকা কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। এদিকে আজ বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভের শংসাপত্র পেতে চলেছেন জো বিডেন। ঠিক তার আগের দিনই বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থকদের এমন নজিরবিহীন হামলায় বিশ্বের সামনে আমেরিকার মুখ পুড়ল, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। মূলত নির্বাচনী ফলাফল বদলে দিতে বেশ কিছুদিন ধরেই ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে ট্রাম্প চাপ দিয়ে চলেছেন। ভোটের ফল বেরনোর পর থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্প জোচ্চুরির অভিযোগ তুলে আসছেন। বুধবার আবার তিনি হুমকি দিয়ে বলেছেন, “আমরা পিছু হটব না।” তার পরই ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। যদিও হামলার কয়েক ঘণ্টা পরে ট্রাম্প টুইট করে সমর্থকদের শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

গত ৩ নভেম্বর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ৩০৬টি ইলেক্টোরাল ভোটে জয়লাভ করেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বিডেন। অন্যদিকে নির্বাচনে হেরে ট্রাম্পের ঝুলিতে গিয়েছে ২৩২টি। এদিকে বুধবার ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট জো বিডেন। তিনি বলেন, “ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ের ঘটনা আমেরিকার সত্যিকারের ছবি হতে পারে না। কিছু উগ্রপন্থা মনোভাবাপন্ন মানুষ এ কাজ করেছেন। এটা বিশৃঙ্খলা। এটা প্ররোচনা। আমাদের লক্ষ্য আইন মেনে চলা। একে অপরকে শ্রদ্ধ করা। এটাই গণতন্ত্রের দস্তুর হওয়া উচিত।” এদিকে বৃহস্পতিবার সকালেই মার্কিন মুলুকে ট্রাম্প সমর্থকদের ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলার ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন নরেন্দ্র মোদি। টুইট বার্তায় তিনি জানান, “গণতন্ত্র হিংসার ঘটনাকে সমর্থন করে না। শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার হস্তান্তর হওয়া উচিত। ওয়াশিংটনের ঘটনা লজ্জাজনক।”