নারায়ণগঞ্জে মসজিদে গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত বেড়ে ২৩ (Photo: Twitter)

ঢাকা, ৬ সেপ্টেম্বর: বাংলাদেশের (Bangladesh) নারায়ণগঞ্জের (Narayanganj) ফতুল্লায় মসজিদে গ্যাস বিস্ফোরণের (Mosque Explosion) ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ২৩। চিকিৎসাধীন বাকিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। গতকাল শনিবার রাতেই মৃত্যু হয়েছে চারজনের। এদিকে, শনিবার বিকেল ৩টা থেকে এ ঘটনায় মৃত ১৬ জনের মরদেহ পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

গতকাল এশার ফরজ নামাজ শেষে অনেকে যখন সুন্নত নামাজ পড়ছিলেন সে সময়েই হঠাৎ গ্যাস লিক করে বিস্ফোরণ হয়। মেঝেতে থাকা কমপক্ষে ৬টি এসি বিস্ফোরণে উড়ে যায়। এর আগে থেকেই মসজিদে গ্যাসের পাইপ থেকে ছিদ্র দিয়ে গ্যাস লিক করে আসার অভিযোগ ছিল। গন্ধ পাওয়া যেত গ্যাসের। বিস্ফোরণের পর আতঙ্কে হুড়াহুড়ি করে অনেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। আশপাশের লোকজন গিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করে। ফায়ার সার্ভিসের আধিকারিক আরেফিন জানান, ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থাবে পৌঁছে ৯ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এর আগে স্থানীয় লোকজন বেশির ভাগ দগ্ধ ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সবাইকেই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের প্রধান সামন্ত লাল সেন জানান, বেশিরভাগের শ্বাসনালীসহ শরীরের ৯০ শতাংশের বেশি পুড়ে গেছে। আরও পড়ুন: US Election 2020: ২ বার ভোট দেওয়ার চেষ্টা করুন, নর্থ ক্যারোলিনার বাসিন্দাদের বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

এদিকে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, গ্যাস থেকেই এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ফায়ার সার্ভিসের টিম। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখা গেছে মসজিদের তল দিয়ে গ্যাসের একটি পাইপ রয়েছে। ওই পাইপের লিকেজ দিয়ে মসজিদের ভেতরে গ্যাস জমে যায়। এর মধ্যে এসি চলার কারণে মসজিদের ভেতরে সবগুলো জানালা ও দরজা টাইট করে বন্ধ ছিল। ফলে নির্গত গ্যাস বের হতে পারেনি। তিনি বলেন, বিস্ফোরণের আগে কেউ হয়তো বাতি বা বিদ্যুতের কিছু জালানোর সময়ে স্পার্ক করে। সেই স্পার্ক থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে।