Bangladesh ex-PM Khaleda Zia (Photo Credits: ANI)

প্রতি মুহূর্তে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটভূমির পরিবর্তন ঘটে চলেছে। পদ্মপারের শান্ত দেশটি আজ টগবগ করে ফুটছে। সরকার বিরোধী আন্দোলনে নেমে মাত্র দুদিনে সেদেশে ৩০০-এ প্রাণ গিয়েছে। গণবিক্ষোভের মুখে পড়ে তড়িঘড়ি প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। মুজিব-কন্যা দেশ ছাড়তেই জেলবন্দি খালেদা জিয়াকে (Khaleda Zia) মুক্তির নির্দেশ দেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। ২০১৮ সালে দুর্নীতি সহ একাদিক অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন বিএনপি নেত্রী খালেদা। তাঁকে ১৭ বছরের কারাবাসের সাজা শোনানো হয়েছি। তবে এবার ৭৮ বছর বয়সী বর্ষীয়ান বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির চেয়ারপার্সনের মুক্তির নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবুদ্দিন।

আওগামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই বাংলাদেশ জুড়ে সেনার অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এরপরেই বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবুদ্দিনের দল একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানায়, রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে একটি বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হবে। বিবৃতিতে এও উল্লেখ করা হয়েছে, ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন যারা গ্রেফতার হয়েছিলেন তাঁদের প্রত্যরককে মুক্তি দেওয়া হবে।

রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বাধীন ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (BNP) ও জামাত-ই-ইসলাম পার্টি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা। এছাড়া ছিলেন সেনা প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান, বাংলাদেশের নৌবাহিনী এবং বায়ুসেনা প্রধানরাও। সকলের সম্মতিতেই খাদেলার মুক্তির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

সোমবার দুপুরেই বোন রেহানাকে নিয়ে বাংলাদেশের বায়ুসেনার C-130 With AJAX1431 কপ্টারটিতে চেপে এক কাপড়ে দেশে ছাড়েন মুজিব-কন্যা। ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা হয়ে গাজিয়াবাদের হিন্দন বিমান ঘাঁটিতে অবতারন করে হাসিনার বিমান। এখান থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার কথা ছিল হাসিনার। কিন্তু উত্তপ্ত বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই মুহূর্তে হাসিনাকে রাজনৈতিক ভাবে সাহায্য করতে চাইছে না ব্রিটেন। তাই ব্রিটেন মুখ ফেরালেও আপাতত 'বন্ধু' হাসিনাকে ভারত ছাড়া করতে পারছে না নয়া দিল্লি। জানা যাচ্ছে, নিরাপদ আশ্রয় না পাওয়া পর্যন্ত ভারতেই থাকবেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।