ঢাকা, ৮ অগাস্ট: চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং-ই র ঢাকা সফরকালে কোনও রকম ঋণের ফাঁদে জড়ালেন না বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বরং শরণার্থী রোহিঙ্গা উপজাতিদের কীভাবে পুনরায় মায়ানমারে ফিরিয়ে দেওয়া যায়, তানিয়েই হল আলোচনা। এই বিষয়ে বাংলাদেশ ও চিন একসঙ্গে কাজ করবে বলে আলোচনায় স্থির হয়েছে। আরও পড়ুন-Telangana: নিজের বাড়িতে আত্মঘাতী বিজেপি নেতা, সিলিং ফ্যানের সঙ্গে মিলল ঝুলন্ত দেহ
শনিবার একদিনের সফরে ঢাকায় আসেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং-ই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকে বসেন। সেখানে ঋণের প্রসঙ্গ উঠলেও বাংলাদেশের তরফে তা স্বচ্ছন্দে এড়িয়ে যাওয়া হয়। বরং দুই দেশের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আগান প্রদান নিয়ে বার্তালাপ হয়। চিন ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে কী কী ধরণের পদক্ষেপ নেওয়া হবে তানিয়েও একপ্রস্থ বৈঠক হয়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মায়ানমারে ফেরত পাঠাতে চিনের সাহায্য চেয়েছেন শেখ হাসিনা। কিন্তু কোনওভাবেই বন্দর বা সেতু গড়ার জন্য বেইজিংয়ের থেকে এখন কোনও ঋণ বাংলাদেশ নেবে না, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
এ কে আব্দুল মোমেন রীতিমতো ক্ষোভের সঙ্গে জানিয়েছেন, চিনা বিদেশমন্ত্রীর এই ঝটিকা সফর সম্পর্কে তাঁরা কিছুই জানতেন না। ঢাকায় অবস্থিত চিনা দূতাবাসএই সফরসূচি নির্দিষ্ট করে তাঁরপর বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রককে জানায়। এদিকে আগামী মাসের শুরুতেই ভারত সফরে আসছেন শেখ হাসিনা। তার আগে কোনওরকম চিনা বিদেশমন্ত্রীর েই সফর ঢাকার কাছে কাম্য ছিল না।