Turkey Earthquake. (Photo Credits: Twitter)

ভোরের জোড়া ভূমিকম্পের পর সকালে আফটার শক। এরপর বিকেলের দিকে নতুন করে ফের ভূমিকম্প তুরস্কে। ঝাঁকনির পর কাঁপুনি, তারপর ফের ঝাঁকুনি। সব মিলিয়ে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তুরস্ক তিন তিনটে বড় মাপের ভূমিকম্পের। একেবারে বিধ্বস্ত গোটা দেশ। দক্ষিণ তুরস্কের এলবিস্তান জেলার কাহরামানমারাস প্রদেশে ৭.৬ মাত্রার ভয়বাহ ভূমিকম্প হল। এই ভূমিকম্পের প্রভাব বেশ কয়েকটি বাড়ি ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। নতুন করে ভূমিকম্প অনুভুত হল সিরিয়ার দামস্কাস, লাতাকিয়া সহ দেশের বেশ কিছু প্রদেশেও।

দক্ষিণ পশ্চিম তুরস্ক ও উত্তর সিরিয়া ৭.৮ মাত্রার ভয়বাহ ভূমিকম্পের ফলে মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সংবাদসংস্থা এপি সূত্রে খবর, দুই দেশ থেকে এই ভূমিকম্পের কারণে মৃত্যু সংখ্যা ১,৩০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ভোররাতে মানুষ যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন, তখনই হয় এই ভয়াবহ ভূমিকম্প। তুরস্ক, সিরিয়ার পাশাপাশি লেবানন, সাইপ্রাসের বেশ কিছু অংশে কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আরও পড়ুন-তুরস্কে বড় ভূমিকম্প হবে, দিন তিনেক আগেই বলেছিলেন গবেষক!

দেখুন ভূমিকম্পের পর কীভাবে ভেঙে পড়ছে বাড়ি

দেখুন ভিডিয়ো

দেখুন ভিডিয়ো

উদ্ধার কাজ এখনও জোরকদমে চলছে। উত্তর সিরিয়ায় যে অংশে ভূমিকম্পের সবচেয়ে বেশী প্রভাব পড়ে বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে সেখানে শতাধিক মানুষ ধ্বংসস্তুপের তলায় চাপা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা।

দেখুন ভিডিয়ো

প্রাথমিক ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল সিরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চল গাজিয়ানটেপ প্রদেশের নুরদাগি শহরের ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ১৭.৯ কিলোমিটার গভীরে। প্রথম দফায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানার ১১ মিনিট পর আরও একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে তুরস্কের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের একটি এলাকায়। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৭।

ইউএসজিএস জানায়, দ্বিতীয় দফায় ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীরে। এই ভূমিকম্পে কেউ হতাহত হয়েছেন কিনা তা এখনো জানা যায়নি। তবে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে একাধিক অ্যাপার্টমেন্ট ধসে পড়েছে।