কাবুলে বিস্ফোরণ (Photo credits : twitter)

কাবুল, ১৭ সেপ্টেম্বর : আফগানিস্তানের (Afganistan) প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির (Afghan President Ashraf Ghani) নির্বাচনী সভার কাছে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর আফগানিস্তানের পারওয়ান প্রদেশের (Parwan province) চারিকরে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, বিস্ফোরণের সময় আশরফ ঘানি সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। তবে তিনি নিরাপদে ও অক্ষত আছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তাঁর প্রচারের মুখপাত্র হামেদ আজ়িজ়। পাশাপাশি আরও তিনটি বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। কাবুলে মাসুদ স্কয়্যার ও মার্কিন দূতাবাসের কাছেও বিস্ফোরণ হয়েছে। পাশাপাশি আফগানিস্তানের অন্তর্বতী মন্ত্রক জানিয়েছে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি বিল্ডিং-র কাছেও বিস্ফোরণ হয়েছে।

আল জাজ়িরার অনুযায়ী, পারওয়ানের প্রাদেশিক গভর্নরের মুখপাত্র ওয়াহিদা শাহকার বলেছেন, সমাবেশ ঢোকার পথে বড় আকারের বিস্ফোরণ হয়। কোনও জঙ্গি সংগঠন এই হামলার দায় এখনও স্বীকার করেনি। স্থানীয় হাসপাতালের প্রধান আবদুল কাসিম সাংগিন বলেন, "মৃত ও আহতদের মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা এবং শিশু। হতাহতদের বেশিরভাগই সাধারণ নাগরিক বলে মনে হচ্ছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।" পারওয়ানের এক সরকারি আধিকারিকরা বলেন, সমাবেশে ঢোকার গেটের কাছে একটি আত্মঘাতী বোমা ( suicide attack) বিস্ফোরণ হয়। আত্মঘাতী জঙ্গি মোটরবাইকে করে এসেছিল। আরও পড়ুন : ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর থেকে কাশ্মীরে একটি গুলিও চলেনি, কেউ প্রাণ হারাননি : অমিত শাহ

১১ সেপ্টেম্বর কাবুলে (Kabul) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ( U.S. Embassy) দূতাবাসের কাছে বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের পর দূতাবাস চত্বর কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। সরকারিভাবে হতাহতের সংখ্যা জানানো হয়নি। ১১ সেপ্টেম্বর ছিল 9-11 হামলার ১৮ তম বর্ষপূর্তি। ১৮ বছর আগে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলা চালানো হয়েছিল। আর সেদিনই কাবুলের মার্কিন দূতাবাসের কাছে শক্তিশালী বিস্ফোরণ হয়।

দীর্ঘদিন মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে আফগানিস্তানে ৷ শান্তি প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত করতে ধীরে ধীরে সেনা প্রত্যাহারের পথে হাঁটতে থাকে পেন্টাগন। এই মাসের শুরুতে কাবুলে দুটি গাড়ি বিস্ফোরণ হয় ৷ প্রাণ হারান NATO মিশনের দুই সদস্য সহ কয়েকজন সাধারণ নাগরিক। বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে তালিবান (Taliban)। ঘটনার দু'দিন পরই ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, তালিবানদের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করেছেন তিনি ৷