নয়া দিল্লি, ১৭ সেপ্টেম্বর : গত ৫ অগাস্ট সংসদে সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের (Article 370 abrogation) দিন থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and kashmir) একটি গুলিও চলেনি বলে দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যাবতীয় দাবি উড়িয়ে দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে অমিত শাহ বললেন, '' গত ৫ অগাস্ট থেকে জম্মু-কাশ্মীরে একটা বুলেটও চালাতে হয়নি। কাশ্মীর একেবারে শান্ত আছে। কাশ্মীরে কেউ প্রাণ হারাননি।'' অল ইন্ডিয়া ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, "৫ অগাস্ট থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর এই সময় পর্যন্ত কাশ্মীরে একটি গুলিও চালানো হয়নি। না কেউ প্রাণ হারিয়েছে। পরম শান্তির পরিবেশ নিয়ে কাশ্মীর উন্মুক্ত।" তিনি আরও জানান, মোদি সরকার দেশের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও আপোষ করবে না। তার জন্য যে কোনও শক্তির সঙ্গে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "দেশের সুরক্ষার (National security) জন্য কোনও আপোষ করা হবে না। আমরা আমাদের ভূখণ্ডের এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ব না। তার জন্য আমরা মোকাবিলা করব। আমাদের সেনাদের রক্তের এক ফোঁটাও বৃথা যেতে দেব না।" দেশের নিরাপত্তা নিয়ে নীতি না গ্রহণের জন্য পূর্ববর্তী কংগ্রেস সরকারকে তীব্রভাবে আক্রমণ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, "দেশের কৌশলগত নীতি বিদেশী নীতির কাছে ঢাকা পড়েছিল।" তিনি আরও বলেন, "সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এবং এয়ার স্ট্রাইকের (surgical strike and air strike) পরে বিশ্বের ধারণার পরিবর্তন হয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী ভারতের শক্তি স্বীকৃতি পেয়েছে।"আরও পড়ুন : বাংলাদেশে যা করেছিল, সেই একই কায়দায় বালোচিস্তানে ধর্ষণ ও লুট চালাচ্ছে পাকিস্তান সেনা, বললেন বালোচ নেতা মেহরান মারি
গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া হয়। তারপর থেকেই কড়া নিরাপত্তার চাজরে মুড়েছে গোটা উপত্যকা। জম্মু ও কাশ্মীরের ‘বিশেষ তকমা’ (special status) প্রত্যাহার করে তাদের দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার পর থেকেই সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রবল উপস্থিতি রয়েছে সেখানে। তার ফলে নাগরিকদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ছন্দপতন ঘটেছে। মেহবুবা মুফতি, ফারুক আবদুল্লাসহ কাশ্মীরের বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের গৃহবন্দি করে রাখা হয়। ইতিমধ্যেই কাশ্মীর প্রসঙ্গে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুখ আবদুল্লাকে আটক করা হয়েছে কি না তা নিয়ে সোমবার কেন্দ্র এবং জম্মু কাশ্মীর প্রশাসনকে নোটিশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত।