লন্ডন, ১৭ সেপ্টেম্বর : একসময় বাংলাদেশে যেভাবে অত্যাচার করেছিল পাকিস্তানের Pakistan army) সেনারা। ঠিক একইভাবে এখন তারা বালোচিস্তানে (Balochistan) অত্যাচার চালাচ্ছে। এই অভিযোগ করলেন বালোচ নেতা মেহরান মারি (Baloch leader Mehran Marri)। তাঁর দাবি, পাকিস্তানের সেনারা বালোচিস্তানে ধর্ষণ ও লুঠপাটের পন্থা নিয়েছে (policy of rape & pillage)। দুই মহিলাকে পাকিস্তানি সেনা ধর্ষণ করেছে। লন্ডনে মারি বলেন, "পাকিস্তানের সেনা ধর্ষণ ও লুটপাট চালানোর জন্য কুখ্যাত। তারা অপারেশন সার্চলাইটের সময় এই কর্মপন্থা চালিয়েছিল বাংলাদেশে। একই কাজ তারা চালাচ্ছে বালোচিস্তানে।" মানবাধিকার কর্মী মেহরান দীর্ঘদিন ধরেই বালোচিস্তানে পাকিস্তানি সেনার অত্যাচার নিয়ে সরব। জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সেশন চলাকালীনও তিনি বাইরে এনিয়ে বিক্ষোভ দেখান।
তিনি বলেন, "এক মাসের ব্যবধানে মর্দানের বাসিন্দা এক মহিলা ও গওয়াদারের বাসিন্দা এক মহিলাকে এই কাপুরুষ পাকিস্তান সেনা বাহিনী ধর্ষণ করেছে। তাদের (পাকিস্তান সেনা বাহিনী) জবাবদিহি করতে হবে। সে বাজওয়া, মোশারফ বা এই স্বৈরশাসকদের মধ্যে যে কেউ হোক না কেন। তারা মানবতার বিরুদ্ধে সমস্ত অপরাধ করেছে।" আরও পড়ুন : জাকির নায়েককে নিয়ে একটি কথাও বলেননি নরেন্দ্র মোদি, মুখ খুললেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মহাথির মহম্মদ
বালোচিস্তান ছাড়াও অন্য জায়গায় সংখ্যালঘুদের উপর পাকিস্তানি সেনার অত্যাচারের কথা আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra MOdi) সাহায্য চেয়েছেন মেহরান মারি। কয়েকদিন পরই রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই তাঁকে সিন্ধসহ অন্য প্রদেশে সংখ্যালঘুদের যে অবস্থা তাও তুলে ধরতে অনুরোধ করেছেন মারি।
নরেন্দ্র মোদি সরকারের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের পর সীমান্তের উভয় পাড়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা বাড়ছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran khan) গত সপ্তাহে ইসলামাবাদে একটি সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন যে পাকিস্তান কাশ্মীরের জনগণকে "মুক্তি" দিতে যে কোনও পদক্ষেপ নেবে। অন্যদিকে, ভারত সরকারের পদস্থ আধিকারিকরা জানিয়ে দিয়েছেন যে এবার পরবর্তী পদক্ষেপ হবে ভারতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) পুনর্মিলন করা। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও (Rajnath Sing) সম্প্রতি বলেন, এবার পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা হলে কাশ্মীর নয়, শুধুমাত্র পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা হবে।