প্রতিষেধক (Photo Credits: IANS)

বেজিং, ১১ জানুয়ারি: কোভিড-১৯ এর উৎস সম্পর্কে বিশদ তথ্য সংগ্রহে আগামী ১৪ জানুয়ারি চিনে যাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ দল। অনেক গড়িমসির পর অবশেষে WHO-র বিশেষজ্ঞ দলে স্বাগত জানাতে তৈরি চিন। এমনটাই জানিয়েছে আন্তার্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি। মূলত চিনে করোনার উৎস সন্ধানের উদ্দেশ্যে WHO-র বিশেষজ্ঞ দলের সদস্যরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়লেও বেজিং থেকে অনুমোদন না মেলেয় কয়েকদিন আগেই হতাশা ব্যক্ত করেছিলেন টেড্রস আধানম ঘেব্রেয়াসিস। ৬ জানুয়ারির বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানের বলা কথার উদ্ধৃতি তুলে ধরেছে এপি। কোভিড বিশেষজ্ঞরা চিনের উদ্দেশে রওনা দিতে ইতিমধ্যেই নিজের নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছেন। আর চিন এখনও তাঁদের প্রবেশের চূড়ান্ত অনুমতি দিতে সময় নষ্ট করছে। এই প্রসঙ্গে গ্লোবাল নিউজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস হু প্রধানের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। আরও পড়ুন-

তিনি বলেন, “আজ আমরা জানতে পারলাম যে কোভিড বিশেষজ্ঞদের যে দলটি চিনে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েছে। তাঁদের সেদেশে প্রবেশের অনুমতি এখনও চূড়ান্ত করেনি চিন। এই খবরে তিনি দারুণ হতাশ হয়েছেন।” কোভিড বিশেষজ্ঞদের চিনে প্রবেশের প্রক্রিয়াকে ইচ্ছাকৃত দেরি করিয়ে দেওয়ায় বেজিংয়ের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে ক্ষোভের বাতাবরণ তৈরি হয়। একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে যায় যে বেজিং করোনার উৎস সন্ধানে বাধা দিচ্ছে। বলা বাহুল্য, WHO-র বিশেষজ্ঞ দল যে চিনে গিয়ে করোনার উৎস সন্ধান করবে, তানিয়ে আগেভাগেই বেজিং ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মধ্যে একটা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। গত বছর মে মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠকে সেই চুক্তি হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য অ্যাসোসিয়েশন হল WHO-র হয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা। সেই সময় এই প্রস্তাবে সায় দিয়েছিল চিন। আরও পড়ুন-Exhibition on Soumitra Chatterjee: ‘অপুর সংসার’ থেকে ‘ময়ূরাক্ষী,’ কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের অঙ্গনে এবার সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কাজের প্রদর্শনী

২০১৯-এর নভেম্বরে প্রথম করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছিল চিনের হুবেই প্রদেশে। ১৭ নভেম্বর ২০১৯-এ হুবেই প্রদেশে বছর ৫৫-র এক ব্যক্তি প্রথম করোনায় আক্রান্ত হন।