
জামাইয়ের প্রথম পক্ষের ছেলে বলে নিত্যদিনই চলত অত্যাচার। বিগত ৭-৮ মাস ধরে অভুক্ত রেখে চলত ১৪ বছরের ওই কিশোরের ওপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। শেষমেশ স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে আসতেই খবর গেল পুলিশের কাছে। অবশেষে পুলিশ এসে ওই নাবালককে উদ্ধার করে এবং গ্রেফতার করে তাঁর দাদুকে। শুক্রবার সকালে এমনই ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার বাদুরিয়া (Baduria) থানার নারায়নপুর এলাকায়। ইতিমধ্যেই উদ্ধার হওয়া কিশোরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ধৃত রজ মণ্ডলের পরিবার।
দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীয়ের পরিবার নাবালকের ওপর চালায় অত্যাচার
জানা যাচ্ছে, অসুস্থ নাদিম মানসুর কাশ্মীরের বাসিন্দা। তাঁর বাবা বাদুরিয়ার বাসিন্দা পারভিন বিবিকে বছরখানেক আগে বিয়ে করেছিলেন। আসলে নাদিমের মায়ের শারীরিক অসুস্থতার কারণে কয়েক বছর আগেই মৃত্যু হয়। সেই কারণে দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ও তাঁর পরিবারকেই দেখভালে দায়িত্ব দেয় নাদিমের বাবা। অভিযোগ, বাড়িতে নিয়ে আসার পর থেকই রজ অমানুষিক অত্যাচার শুরু করে নাবালকের ওপর।
গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে
ঘরবন্দি রেখে দিনের পর দিন মারধর করা হত তাঁকে। এমনকী তাঁকে অভুক্ত রাখা হত বলে অভিযোগ। বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে আসে সম্প্রতি। তারপরেই তাঁরা নাদিমকে উদ্ধার করার চেষ্টা করে। শুক্রবার ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে নাবলককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং অভিযুক্ত রজকে গ্রেফতারও করে পুলিশ।