Winter In West Bengal: ঘন কুয়াশার চাদরে মুড়েছে বাংলা, শীতের দেখা নেই
শীত (প্রতীকী ছবি: File Photo)

কলকাতা, ৯ ডিসেম্বর: নভেম্বরের শেষের দিকে দুবার মাত্র দেখা দিয়েই ডুব দিয়েছে শীত। একেবারে কুয়াশায় ডুব। এর ফলে ডিসেম্বরের শুরুতেই বঙ্গবাসীর দৃশ্যমানতা উধাও হয়েছে। ঠান্ডাও যে কোথায় শীতঘুমে (Winter) ডুব দিল বোঝা যাচ্ছে না। সুপর্মাকে ডাকাডাকি করায় কুয়াশা এলেও শীতের দেখা নেই। আর কুয়াশা সে তো শুধু আসেনি, একেবারে জাঁকিয়ে বসেছে। দিন তিনেক ধরে শহর কলকাতা-সহ দক্ষিণ বঙ্গের বিভিন্ন এলাকার স্বাভাবিক দৃশ্যমানতা উধাও হয়েছে। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকেছে চারপাশ। বেলা বাড়লেও কুয়াশার চাদর কেটে রোদ্দুরের দেখা মিলছে না। এর জেরে বিমান, ট্রেন, সড়কপথে যানবাহন চলাচল ঝুঁকির মুখে পড়েছে। আলিপুরের হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আগামী কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গে কুয়াশাঘেরা ছবি অব্যাহত থাকবে।

এর মাঝে কবে যেশীত ফিরবে বঙ্গে তার কোনও খবর শোনাতে পারলেন না আবহবিদরা। তাঁদের সাফ দাবি, পৌষের আগে রাজ্যে শীতের দেখা পাওয়া ভার। বর্তমান পরিস্থিতির জন্য হাওয়া অফিস দায়ী করছে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা। ভূমধ্যসাগর থেকে ইরান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান পেরিয়ে আসা অতিথিকে অবশ্য শীতের ভগীরথ হিসেবেই ধরা হয়। ঝঞ্ঝা এসে কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, নেপাল, সিকিমের পাহাড়ে তুষারপাত ঘটাবে, কাছাকাছি সমতলে বৃষ্টি হবে, তবেই কামড় বসাবে উত্তুরে হাওয়া। কিন্তু ঝঞ্ঝা যখন ঢোকে তখন জলীয় বাষ্প বেড়ে গিয়ে উত্তুরে হাওয়ার ছন্দ নষ্ট করে দেয়। বাতাস কনকনে হয় ঝঞ্ঝা চলে যাওয়ার পরই। এ বার তাৎপর্যপূর্ণ পারাপতন তখনই হবে, যখন দু'টি ঝঞ্ঝার মধ্যে সময়ের ফারাক থাকবে। এখন তারই অভাব দেখতে পাচ্ছেন আবহবিদরা। আরও পড়ুন-William Shakespeare and Adolf Hitler: ঘোর কলি! ভোটে জিতলেন অ্যাডলফ হিটলার, কোভিড টিকা নিলেন উইলিয়াম শেকসপীয়ার

মৌসম ভবনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান, উপমহানির্দেশক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বুধবার কুয়াশার কিছুটা কম থাকবে। বৃহস্পতিবার আকাশ পরিষ্কার হয়ে গেলে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। তবে ১৬ ডিগ্রির নীচে নামার সম্ভাবনা কম। শনিবার থেকে আবার তাপমাত্রা বাড়বে।”