কলকাতা, ২৫ আগস্ট: লকডাউনের সুফল মিলেছে পশ্চিমবঙ্গে (Coronavirus Cases In West Bengal)। টানা কয়েকদিন দৈনিক সংক্রামিত ৩ হাজারের কোঠায় থাকার পর সোমবার রাত পর্যন্ত দেখা গেল রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৯৬৭ জন। গত শনি ও রবিবার এ রাজ্যে যথাক্রমে ৩ হাজার ২৩২ এবং ৩ হাজার ২৭৪ জন নতুন করোনা রোগীর সন্ধান মিলেছিল। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৪১ হাজার ৮৩৭। গত কয়েক দিন ধরে রাজ্যে দৈনিক মৃত্যু ৫০-এর কোটায় ঘোরাফেরা করছিল। মাঝে শনিবার তা কমে ৪৮ হয়। রবিবার ফের তা বেড়ে ৫৭-তে এসে ঠেকে। গত ২৪ ঘণ্টাতেও ৫৮ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আরও পড়ুন-Sonia Gandhi: কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী থাকছেন সনিয়া গান্ধীই, ৬ মাসের জন্যই দায়িত্ব নিতে পারবেন জানালেন রাহুল গান্ধী
তবে সংক্রমণের গতিপ্রকৃতি দেশে উত্তর ২৪ পরগনার পরিস্থিতি রাজ্য প্রশাসনকে চিন্তায় ফেলেছে। সোমবার বিকেলে এক বৈঠকে যোগ দিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন সেখানে সংক্রমণ কমছে না, তা জানতে চান তিনি। জেলা সভাধিপতি বিধায়করা কি এলাকার যত্ন নিচ্ছেন না? ডেঙ্গি সচেতনতার প্রচারও শুরু করতে বলেছেন তিনি। কারণ এই জেলাতেই ডেঙ্গির প্রকোপ সবথেকে বেশি থাকে। পুলিশ দিবসে মাস্ক পরার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কিত প্রচারে জোর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি। তবে লকডাউনের জেরে সংক্রমণের শৃঙ্খল যে ভাঙছে তা অল্প হলেও বোঝা যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাজয়ীর সংখ্যা ৩ হাজার ২৪৫ জন, যা এখনও পর্যন্ত রেকর্ড। ফলে সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৭৮.৪৬ শতাংশ। রাজ্যে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৬৯৪ জন।
পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতি
West Bengal records 2,967 new COVID-19 cases and 57 deaths today, taking the total number of cases to 1,41,837 including 27,694 active cases, 1,11,292 recoveries and 2,851 deaths: State Health Department pic.twitter.com/Afuns2ZAv3
— ANI (@ANI) August 24, 2020
এদিকে লকডাউনের সাফল্যের উপরে করোনা পরিস্থিতির সাফল্য নির্ভর করছে বলে বিশেষজ্ঞরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন। যে কারণে প্রশাসনিক তৎপরতায় প্রতিটি লকডাউনে সফলের ছবি ধরা পড়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। তারই সুফল হিসেবে সংক্রমণে রাশ টানা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, রাজ্যে পরবর্তী পূর্ণাঙ্গ লকডাউন ২৭ এবং ৩১ আগস্ট। এখন একটাই লক্ষ্য, যেনতেন প্রকারেণ রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমাতে হবে। সংক্রমণকে রুখে দিতে হবে।