কলকাতা, ২৫ ডিসেম্বর: জমিয়েত উলেমা হিন্দ প্রধান তথা রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর (Siddiqullah Chowdhury) ভিসা (Visa) মঞ্জুর করল না বাংলাদেশ সরকার। ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে থাকার আবেদন জানিয়ে ভিসা বানাতে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মন্ত্রীর দাবি, তাঁকে ভিসা দেওয়া হয়নি। বিদেশ সফরের জন্য নবান্ন ও কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতিও পেয়েছিলেন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। কিন্তু তাও তাঁকে ভিসা দেওয়া হয়নি।
জমিয়েত উলেমা জানিয়েছে, ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ (Bangladesh) যাওয়ার কথা ছিল সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর। সেখানে ৫-৬ দিন থাকতেন তিনি। বিমানের (Flight) টিকিটও কেটেছিলেন। অনলাইনে ভিসার আবেদনের পর কলকাতায় বাংলাদেশের উপদূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর ব্যক্তিগত সচিব প্রদীপ আগরওয়াল। পাসর্পোটের ফর্মসহ অনলাইনে ভিসার আবেদনপত্র নিয়ে তিনবার ভিসা অফিসে যান জনশিক্ষা প্রসার দফতরের কর্মী প্রবীর ঘোষ। কিন্তু প্রতিবারই কোনও উত্তর না দিয়ে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। বাংলাদেশে সিলেটের একটি মাদ্রাসায় শতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। সেখানে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি তাঁর স্ত্রীর আত্মীয়ের বাড়িতেও যাওয়ার কথা ছিল এই সফরে। ঢাকায় স্ত্রীর মাসতুতো ভাইয়ের সঙ্গেও দেখা করার কথা ছিল। শাহ জালালের মাজারেও যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল গ্রন্থাগার মন্ত্রীর। তাঁর সফরসূচি সম্পর্কে বাংলাদেশ সরকারকে অবগত করিয়েছিলেন সিদ্দিকুল্লাহ। মিলেছিল অনুমতি। নবান্নও তাঁকে অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত ভিসা আটকে গেল তাঁর। যদিও ভিসা না দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেনি ঢাকা। আরও পড়ুন: Solar Eclipse: কাল সকাল ৮ টায় বছর শেষে সূর্যগ্রহণ!
West Bengal Minister Siddiqullah Chowdhury: I had applied for visa of Bangladesh 10 days ago. My ticket has been booked. But today I was informed that the visa has been denied. Reasons for denial of visa haven't been cited. (File pic) pic.twitter.com/mIu2TFN224
— ANI (@ANI) December 25, 2019
সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী এই প্রসঙ্গে বলেন, ''কেন ভিসা দেওয়া হল না, তা জানানো হয়নি। বাংলাদেশের ভিসা কর্তৃপক্ষকে ভুল বোঝানো হয়েছে।'' ২২ ডিসেম্বর কলকাতায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (CAA) বিরোধিতায় সভা করেছিলেন জমিয়েত উলেমা। অনেকেই বলছেন, সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ঢাকায় গেলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে হাসিনার (Sheikh Hasina) সরকার। সে কারণেই তাঁর ভিসা নামঞ্জুর হয়েছে।