কলকাতা, ১ জানুয়ারি: দ্রুত গতিতে বাড়ছে ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্তের সংখ্যা। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের হারও। আর এ বিষয়টি মাতায় রেকেই নতুন চিকিৎসাবিধি (New Treatment Rules) জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর (State Health Department)। এই বিধির তালিকায় মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি থেরাপি (ককটেল থেরাপি) ও মলনুপিরাভির, এই দু’টি ওষুধকে রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত তালিকায় এই দুই চিকিৎসা পদ্ধতিকে প্রথম বার অন্তর্ভুক্ত করা হল।
অবশ্য রাজ্যে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে মূলত কোভিড রোগীর ক্ষেত্রে এই ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। তবে এ বার স্বাস্থ্য দফতরের তালিকায় এই চিকিৎসা পদ্ধতি রাখা হল। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের ক্ষেত্রে এই চিকিৎসা ব্যবহার করতে।
আর কী কী নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে জেনে নিন-
উপসর্গহীন রোগী, লক্ষণবিহীন কোমর্বিড রোগী এবং মৃদু উপর্সগযুক্ত রোগী। এই ধরনের রোগীদের বাড়িতে বা সেফ হোমে নিভৃতবাসে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে যদি রোগীদের শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়, ধারাবাহিক ভাবে জ্বর থাকে, বুকে ব্যথা বা মারাত্মক কাশি হতে থাকে তবে তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রোগীকে হাসপাতালের এইচডিইউ বা আইসিইউ-তে ভর্তি করাতে হবে। আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্ত ৩০ জন মন্ত্রী-বিধায়ক, কঠোর বিধিনিষেধ চাপাতে পারে রাজ্য সরকার
কোমর্বিড রোগী ছাড়াও যাঁদের ক্ষেত্রে ১০০.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি জ্বর, শ্বাস নিতে কষ্ট, বুকে ব্যথা ও দ্রুত মানসিক স্থিতির দ্রুত পরির্বতন হচ্ছে— এই ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রেও অক্সিজেনের ব্যবস্থা রাখা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, বছরের শেষ দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৬ হাজারের কিছু বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ বেড়ে হয়েছে ২২ হাজারের বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ২২ হাজার ৭৭৫ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮ হাজার ৯৪৯ জন।