Justin Trudeau (Photo Credit: File Photo)

টরন্টো, ৬ জানুয়ারি: ৯ বছর ধরে একটানা দেশের সিংহাসনে থাকার পর অবশেষে গদি ছাড়তে হল কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)-কে। ১১ বছর পর কানাডর লিবারল পার্টির প্রধানের পদও ছাড়তে হল ট্রুডো-কে। ২০১৫ সালের নভেম্বরে দেশের ২৩ তম প্রধামন্ত্রী পদে বসা ট্রুডোর পদত্যাগের ফলে সাসপেন্ড হয়ে গেলে কানাডার পার্লামেন্টও। লিবারল পার্টি নতুন দলনেতা ঠিক না করা পর্যন্ত সাময়িকভাবে ট্রুডো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করে যাবেন। ক মাস আগেই ভারতের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছিলেন ট্রুডো। তারপর মোদী প্রশাসনের সঙ্গে ট্রুডো-র সরাসরি দ্বৈরথ শুরু হয়। কিন্তু কেন পদত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো?

কেন পদত্যাগ

অক্টোবরে কানাডায় সাধারণ নির্বাচন। নির্বাচনের আগে ট্রুডোর দল লিবারাল পার্টির অবস্থা একেবারে খারাপ। সব জনমত সমীক্ষাতেই দেখা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর জনপ্রিয়তা একবারে তলানিতে ঠেকেছে। মুদ্রাস্ফীতি থেকে বেকারত্ব, কানাডার আইনশৃঙ্খলা তলানিতে ঠেকা , দেশের বাইরে থেকে আসা লোকেদের দাপট সহ নানা ইস্যুতে একেবারে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে ট্রুডোর। ট্রুডো থাকলে লিবারাল পার্টির ভরাডুবি অনিবার্য। তাই দলের চাপেই সরতে হল ট্রুডোকে। প্রসঙ্গত, জাস্টিন ট্রুডোর বাবা পিয়ের ট্রুডো ১৯৮০ থেকে ১৯৮৪ পর্যন্ত কানাডার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

পদত্যাগের কথা ঘোষণা করে কী বললেন জাস্টিন ট্রুডো

ট্রাম্পের অপছন্দের কারণেই কী সরতে হল

জাস্টিনের বিদায়ের আরও একটা বড় কারণ হল কানাডার প্রতিবেশী দেশ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়। বিভিন্ন কারণে ট্রুডোর সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক বাইডেন প্রশাসনের। যা নিয়ে বারবার ক্ষোভ জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতার পরে বাইডেনের 'ব্লু আইড বয়'জাস্টিন ট্রুডোকে সরাসরি কটাক্ষ করেন ট্রাম্প। এমনকি তার মারে-লাগোতে সঙ্গে ট্রুডো দেখা করতে এলে, কাডার প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি ট্রাম্প প্রস্তাব দেন, দেশ নয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হলে কানাডাকে সরাসরি সাহায্য করবে তার প্রশাসন।