প্রতি বছর ১৪ জানুয়ারি পালন করা হয় মকর সংক্রান্তি উৎসব। এই উৎসবটি ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন নামে পালিত হয়, যেমন উত্তর ভারতে এটি "খিচড়ি" নামে পরিচিত, তামিলনাড়ুতে এটি "পোঙ্গল" হিসেবে পালিত হয়, উত্তর-পূর্ব ভারতে "বিহু" নামে পরিচিত এবং বাংলায় এটি "পৌষ পর্ব বা গঙ্গাসাগর মেলা" নামে পরিচিত। কৃষকদের জন্য এই উৎসব খুবই বিশেষ, কারণ এটি ফসল তোলার সময়। এই দিনে নতুন ফসলের আগমন উদযাপন করা হয় এবং সমৃদ্ধির জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা হয়। এই দিনে গুড় দিয়ে খুব সুস্বাদু খাবার তৈরি করা হয়। মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে চলুন জেনে নেওয়া যাক তিল-গুড়ের বরফি ও গুড়ের ক্ষীর তৈরির পদ্ধতি।

মকর সংক্রান্তির দিনে তিল ও গুড়ের লাড্ডুর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। লাড্ডুর পাশাপাশি তিল ও গুড় দিয়ে তৈরি করা যেতে পারে বরফি। এর জন্য প্রথমে তিল পরিষ্কার করে ভাজতে হবে এবং ঠান্ডা হয়ে গেলে গুঁড়ো করে নিতে হবে। এবার একটি প্যানে ঘি গরম করে তাতে গুড় ও গুঁড়ো তিল যোগ করে নিতে হবে। এতে কিছু জলও যোগ করে নেওয়া যেতে পারে। মিশ্রণটি প্যানে যাতে লেগে না যায় তার জন্য নাড়িয়ে যেতে হবে। এরপর গুড়ের শরবত ও তিলের মিশ্রণ মিশিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করতে হবে। এর মধ্যে মিশিয়ে নিতে হবে কাটা শুকনো ফল। সবশেষে একটি প্লেটে ঘি লাগিয়ে তাতে মিশ্রণটি রাখতে হবে এবং ঠান্ডা হয়ে গেলে পছন্দ মতো আকারে কেটে নিতে হবে।

গুড়ের ক্ষীর তৈরি করার জন্য সবার প্রথমে প্রয়োজন অনুযায়ী ২ ঘন্টা জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে চাল। এরপর এটি থেকে অতিরিক্ত জল বের করে নিতে হবে। অন্যদিকে একটি পাত্রে দুধ ফুটিয়ে নিতে হবে। দুধ ফুটতে শুরু করলে দুধে চাল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে এবং চামচ দিয়ে নাড়িয়ে যেতে হবে যাতে পাত্রে লেগে না যায়। এবার একটি পাত্রে গুড় ও আধা কাপ জল দিয়ে গরম করতে হবে। গুড় সম্পূর্ণ গলে গেলে এবং সিরাপ তৈরি হয়ে গেলে গ্যাস বন্ধ করে দিতে হবে। ক্ষীরে কাটা শুকনো ফল যোগ করা যেতে পারে এবং ক্ষীর সেদ্ধ হয়ে গেলে গ্যাস বন্ধ করে ঠান্ডা হতে দিতে হবে। সবশেষে ক্ষীরে গুড়ের শরবত যোগ করে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।