কলকাতা, ২৮ ডিসেম্বর: মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (CM Mamata Banerjee) এবং রাজ্যপাল (Governor) জগদীপ ধনখরের (Jagdeep Dhankhar) বাদানুবাদ কিছুটা ঠান্ডা হল। মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির জবাব পেয়ে খুশি রাজ্যপাল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে গত ২৫ ডিসেম্বর চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর। এর আগে বারবার মুখ্যমন্ত্রীকে ডেকে পাঠিয়ে চিঠি দেন তিনি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী না জবাব দিয়েছেন, না দেখা করেছেন। তার ওপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁকে ঢুকতে না দেওয়া, সিএএ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে অসুন্তুষ্ট হন রাজ্যপাল। আর তাতেই সাংবাদিক বৈঠক করে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
কিন্তু শেষ চিঠির জবাব মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে চলে আসবে,তা তিনি ভাবতে পারেননি। মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি পেতেই সকাল সকাল উচ্ছ্বসিত হয়ে টুইট করলেন তিনি। সম্প্রতি যাদবপুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল। চিঠির জবাবে মুখ্যমন্ত্রী জানান, এটি শিক্ষা দফতরের বিষয়। রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনা করতে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জিকে (Partha Chatterjee) নির্দেশ দেন তিনি। তারপরই রাজ্যপাল জানান গণতন্ত্রে এভাবেই একসঙ্গে চলতে চান তিনি।
আরও পড়ুন, 'মা মাটি মানুষ' থেকে 'ক্যা ক্যা ছিঃ ছিঃ', মমতা ব্যানার্জির সেরা পাঁচটি ভাইরাল স্লোগান
Efforts to ensure improvement in education scenario seem to be bearing results. To my communication of December 25, CM has responded on Dec 26 that Minister-in-Charge Education will discuss all the issues. I look forward to this. In democracy we have to move in togetherness. pic.twitter.com/MugTFUS1Vm
— Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) December 28, 2019
গত ২৫ ডিসেম্বর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল। অনুষ্ঠানে আসা তো দূর, চিঠির উত্তর দেননি বলে রাজ্যপাল অভিযোগ করেন। সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যপালের ক্ষোভ, প্রশাসনের কোনও প্রতিনিধিকেও পাঠানো হয়নি রাজভবনে।
কিছুদিন আগে রাজ্যপালের নাম না করে একাধিক বার নিশানা দাগিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নৈরাজ্য তৈরি হয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ রাজ্যপালেরও। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে গিয়েও পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে রাজভবনে ফিরে আসতে হয় জগদীপ ধনখরকে।