কলকাতা, ২৮ নভেম্বর: ভোটের হাওয়ায় যেন চমকের ছড়াছড়ি। দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) গড় বলে খ্যাত খড়গপুর (Kharagpur) ও কালিয়াগঞ্জেও (Kailaganj) গেরুয়া শিবিরকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। আর করিমপুরে (Karimpur) তো প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। কালিয়াগঞ্জে সপ্তম রাউন্ডের শেষে তিন হাজারের ও বেশি ভোটে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল প্রার্থী তপন দেব সিং, অনেকটাই পিছনে বিজেপির কমল চন্দ্র সরকার। তৃণমূল ৩২০৪ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল। সবমিলিয়ে বিজেপির অবস্থা বেশ খারাপ। এই প্রথম কালিয়াগঞ্জে তৃণমূল জিতলে সেটা হবে ইতিহাস। আড়াই রাউন্ড হাকি হলা যেতে পারে, অষ্টম রাউন্ডে বিজেপি লিড কমাতে না পারলে তা তৃণমূলের জয়কেই সুনিশ্চিত করছে।
করিমপুরে মজুমদার ২৭ হাজার ৭৫১ ভোটে তৃণমূল কংগ্রেয় এগিয়ে। বিজেপি ১০ হাজারে আটকে আছেন। তবে বাম-কংগ্রেস জোট সেভাবে ছাপ ফেলতে পারেনি তৃণমূলের গড়ে। করিমপুর-২ এর উফরে তৃণমূলের ভরসা অটুট রয়েছে। জোট করিমপুর ও কালিয়াগঞ্জে একেবারেই ফ্লপ, যা তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য শাপে বর হয়েছে বলা যেতে পারে। তৃণমূল কিন্তু উপ নির্বাচনে চমক দিচ্ছে। করিমপুরে তৃণমূলের বিমলেন্দু সিংহ রায় ২৭ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে আছেন। খড়গপুরে প্রেস্টিজ ফাইটে পিছিয়ে পড়েছে বিজেপি। খড়গপুরে ১২ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। গণনাকেন্দ্রের বাইরে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের উল্লাস ক্রমে বেড়েই চলেছে। ১৩ হাজার ১৪২ ভোটে এখনও পর্যন্ত এগিয়ে পবিত্র সরকার। উন্নয়নের ভোট হয়েছে, ৩০ হাজারের লিড রাখবে খড়গপুর। জানিয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকরা। নবম রাউন্ডের শেষে তৃণমূলের মুখেই চওড়া হাসি। আরও পড়ুন-West Bengal By Election Result: আজ খড়গপুর, করিমপুর ও কালিয়াগঞ্জে উপ নির্বাচনের ফল, সকাল থেকে শুরু গণনা
খড়গপুর সদর বিধানসভায় তিনি নিজে প্রার্থী না হলেও, এই আসনে ভোট দিলীপ ঘোষের ব্যক্তিগত লড়াই। বিজেপি সভাপতির আশীর্বাদে ভরসা রেখেই প্রচারে বেরিয়েছিলেন দলের প্রার্থী। পুরসভা চেয়ারম্যান, পরিচিত মুখ প্রদীপ সরকারকে প্রার্থী করে বাজিমাতের চেষ্টায় তৃণমূল। বিধানসভা নির্বাচনে, খড়গপুরে প্রায় ৬ হাজার ভোটে জয়ী হন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্রে ৪৫ হাজার ভোটে এগিয়েছিলেন তিনি।বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায়, লোকসভা নির্বাচনে, খড়গপুরে তৃণমূলের ভোট প্রায় ৮ শতাংশ বাড়ে। কিন্তু, বাম-কংগ্রেস-তৃণমূলের সম্মিলিত ভোটের চেয়েও বেশি ভোট যায় বিজেপির ঝুলিতে। বিজেপির প্রেমচাঁদ ঝা বিপাকে তা বেশ বোঝা যাচ্ছে।