কলকাতা, ২ নভেম্বর: দেখতে দেখতে সাত মাসেরও বেশি হয়ে গেল বন্ধ রয়েছে রাজ্যের লোকাল ট্রেন পরিষেবা (Local Train Service)। পশ্চিমবঙ্গের খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে পড়ুয়া, সরকারি, বেসরকারি চাকুরে প্রায় সকলেরই একমাত্র লাইফ লাইন লোকাল ট্রেন। এদিকে নভেল করোনাভাইরাস ও লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন রাজ্যে লোকাল ট্রেন বন্ধ রয়েছে। এর ফলে রাজ্যের বৃহদাংশের উপার্জনের পথ প্রায় বন্ধ। পেটের টানে অনেকেই বিকল্প ব্যবস্থা নিলেও তা এটাই ব্যয়বহুল যে টানা সম্ভব হচ্ছে না। প্রায় প্রতিদিনই রেলকর্মীদের জন্য যে ট্রেন চলছে তাতে সাধারণ যাত্রীরা উঠে পড়ায় গোলমাল লেগেই রয়েছে। হাওড়াতে রেলপুলিশ একারণে সাধারণ যাত্রীদের উপরে লাঠিচার্জও করেছে। এই ঘটনায় প্রতিবাদে সরব হয়েছে রাজ্য প্রশাসন।
কবে থেকে সাধারণ যাত্রীদের সমস্যা দূর করতে এখানে লোকাল ট্রেন চালু হবে তানিয়েই সোমবার অর্থাৎ আজ বিকেল পাঁচটা নাগাদ নবান্নে পূর্বরেলের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন রাজ্য প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। শনিবার সন্ধ্যায় যাত্রী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে হাওড়া স্টেশন। এদিন সন্ধেয় কয়েকশো যাত্রী ট্রেনে চড়তে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান হাওড়া স্টেশনে। তাঁদের দাবি, রুটি রুজির টানে ঘরে থেকে বেরিয়েছি। এখন ফিরব কীভাবে। এদিন কোনওক্রমে গেট বন্ধ করে, লাঠি চালিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় রেল পুলিস। রেলের দাবি, ওই ট্রেন স্টাফ স্পেশাল। সেখানে সাধারণ যাত্রীদের উঠতে দেওয়ার অনুমতি নেই। ওই ঘটনার পরই লোকাল ট্রেন চালাতে চেয়ে রেলকে চিঠি দেয় রাজ্য সরকার। আরও পড়ুন-Prince William Contracted COVID-19: গত এপ্রিলে করোনা আক্রান্ত হয়েও অসুস্থতা গোপন রেখেছিলেন যুবরাজ উইলিয়ম, কেন জানেন?
এদিকে বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান সচিব এইচ কে দ্বিবেদী। তিনি ইতিমধ্যেই পূর্ব রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজারকে এনিয়ে চিঠিও দিয়েছেন। তাতে বলা হয়, কোভিডবিধি মেনে সাধারণ যাত্রীদের জন্য সকাল ও দুপুরে ট্রেন চালাতে চায় রাজ্য সরকার। সেই চিঠির জবাব দিয়েছে রেল। ওই চিঠিতে রেল জানিয়েছে, লকডাউনের শুরু থেকেই শহরতলির ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখেছে রেল। কিন্তু এখন তা কীভাবে শুরু করা যায় তানিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে চায় রেল। গত ৩১ অক্টোবর এনিয়ে রেলকে একটি চিঠি লেখে রাজ্য সরকার। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ২ নভেম্বর সোমবার রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসবে রেল। ডানা গিয়েছে, নবান্নের ওই বৈঠকে থাকবেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও থাকবেন স্বরাষ্ট্রসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও অন্যান্য আধিকারিকরা। রেলের তরফে থাকবেন পূর্বরেলের অতিরিক্ত জিএম, অপারেশনাল ম্যানেজার।