ইংল্যান্ড, ২ নভেম্বর: গত এপ্রিল মাসেই নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ব্রিটেনের যুবরাজ উইলিয়ম (Prince William)। ঠিক একই সময়ে করোনা আক্রান্ত ছিলেন তাঁদের বাবা প্রিন্স চার্লসও। রবিবার কেনসিংটন প্যালেস সূত্রে এই খবর জানালো ব্রিটেনের সংবাদ মাধ্যম। জানা গিয়েছে, মারণ রোগে আক্রান্ত হয়েও বিষয়টি গোপনে রেখেছিলেন প্রিন্স উইলিয়ম। কেননা তিনি চাননি দেশজুড়ে হইচই শুরু হোক। ওই মাসেই করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর নিদারুণ শরীর খারাপ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তাঁকে আইসিইউ-তেও রাখা হয়েছিল অনেকটা সময়। পরে বরিস জনসন নিজেই জানিয়েছেন, করোনার থাবায় তিনি কতটা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন যে বেঁচে থাকার জন্য লিটারকে লিটার অক্সিজেন টেনেছেন। চিকিৎসকরাতো তাঁর মৃত্যু সংবাদ ঘোষণার প্রস্তুতিও শুরু করেছিল। আরও পড়ুন-Soumitra Chatterjee Health Update: তৃতীয় ডায়ালিসিস দেওয়ার ভাবনা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে, রবিবার ফের শারীরিক অবস্থার অবনতি
এএনআই-এর টুইট
Britain’s Prince William (file pic) contracted #COVID19 in April at a similar time to his father Prince Charles, British media reported on Sunday, citing Kensington Palace sources. He kept his diagnosis a secret as he didn't want to alarm the country, newspaper reported: Reuters pic.twitter.com/y5EkCzxPjD
— ANI (@ANI) November 2, 2020
করোনার সেকেন্ড ওয়েভ শুরু হয়েছে সমগ্র ইউরোপজুড়ে। এই পরিস্থিতিতে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সবাই বাড়িতেই থাকবেন, এই ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। শনিবার ১০ ডাউনিং স্ট্রিট থেকে এক ভিডিও বার্তায় একথা জানান ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। ইংল্যান্ডের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ মিলিয়ন ছাড়ানোর পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তিনি বলেন, এই বিপর্যয়ের দিনে দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো কোনওভাবেই বাড়ানো সম্ভব নয়। তাই বাড়িতে থাকাই একমাত্র সমাধানের পথ। সম্পূর্ণ লকডাউনই জরুরি। নাহলে দেশের চিকিৎসা পরিকাঠামোও পুরোপুরি ভেঙে পড়বে।