রাজনৈতিক সৌজন্যের নজির,মোদির শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি
মমতা ও মোদি (Photo Credits: IANS)

২৯মে,২০১৯:‌ প্রবল ভাবে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তাঁরা। একমাস আগে পর্যন্ত একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে বিন্দু মাত্র কসুর করেননি। মোদি এবং মমতা যেন একই সমান্তরাল রেখার দুই মেরু। ঐসিহাসিক ভাবে সেই দুই মেরুই এক জায়গায় আসতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi)‌শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পৌঁছে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal)মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির (Mamata Banerjee)কাছে। মোদির এই রাজনৈতিক সৌজন্যর জবাবে মমতা ব্যানার্জিও গ্রহণ করেছেন সেই আমন্ত্রণ পত্র। এমনকী মোদির প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। মমতা ব্যানার্জির এই সিদ্ধান্তকেও রাজনৈতিক সৌজন্যের এক নজির বলা যায়। যদিও এই রাজনৈতিক সৌজন্যতা মমতার নতুন নয়।

রাজ্যের প্রবল প্রতিপক্ষ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের অসুস্থতার খবর শুনে একসময় ছুটে গিয়েছিলেন তাঁর পাম অ্যাভিনিউর বাড়িতে। যদিও মোদির সঙ্গে রাজনৈতিক বৈরিতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সেটা আগামী দু’‌বছর আরও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তারপরেও মমতার এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

অনেকে আবার দাবি করেছেন রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বৈরিতা থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় কাজ করতে গেলে কেন্দ্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখেই কাজ করতে হবে রাজ্যকে। মমতার এই পদক্ষেপ সেই যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর একটি পদক্ষেপ মাত্র বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সেজন্য বুধবারই দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।

দ্বিতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদীর শপথ নেওয়ার কথা কাল, বৃহস্পতিবার। সেই শপথ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র মঙ্গলবার দিল্লিতে রাজ্যের রেসিডেন্ট কমিশনারের কাছে পৌঁছেছে। আমন্ত্রণ গ্রহণ করার আগে মুখ্যমন্ত্রী কথা বলেছেন একাধিক প্রবীণ বিরোধী নেতা ও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। পরে তিনি বলেন, ‘‘সবার সঙ্গে কথা বলে নিয়েছি। আমার সঙ্গে দু-এক জন মুখ্যমন্ত্রীরও কথা হয়েছে। এটা যে হেতু আনুষ্ঠানিক সরকারি কর্মসূচি, তাই তাকে সম্মান দিয়ে আমি যাব।’’ সূত্রের খবর, শপথের পরের দিন বিরোধী শিবিরের নেতা-নেত্রীরা ভোট-পরবর্তী প্রথম বৈঠকও সেরে নিতে পারেন।