কলকাতা, ২১ মে: বিধ্বংসী আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ে (Amphan Cyclone) ছাড়খাড় হয়ে গেছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। ল্যাম্পপোস্ট, গাছ, ট্রাফিক সিগন্যাল উপড়ে পড়ে রয়েছে রাস্তার উপর। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চলছে উদ্ধারকাজ। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার জেরে বহু এলাকা থেকে এখনও ক্ষয়ক্ষতির খবর প্রকাশ্যে আসেনি। বিদ্যুৎ পরিষেবা, টেলি যোগাযোগ ব্যহত বেশ কিছু এলাকায়। কলকাতার পরিস্থিতি নিয়ে টুইট করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। আরও পড়ুন: Cyclone Amphan: ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের দাপটে বিপর্যস্ত ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ, মঙ্গল কামনা করে টুইট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির
রাজ্যপাল টুইটে জানান, "মোবাইল ফোন আর ইন্টারনেটের সার্ভিস প্রোভাইডারদের সাথে যোগাযোগে আছি যাতে স্বাভাবিক পরিষেবা আবার শুরু করা যায়। এইরকম কঠিন সময় একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা খুব জরুরি।" পাশাপাশি তিনি আরও একটি টুইটে লেখেন, নিজেদের এবং অন্যদের প্রয়োজনের খেয়াল রাখুন। মারাত্মক রকমের ক্ষতি হয়ে গেছে। মমতা ব্যানার্জির কাছ থেকে রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি।"
নিজেদের এবং অন্যদের প্রয়োজনের খেয়াল রাখুন। মারাত্মক রকমের ক্ষতি হয়ে গেছে। @MamataOfficial এর কাছ থেকে রিপোর্টের অপেক্ষায় আছে।(2/2)
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) May 21, 2020
মোবাইল ফোন আর ইন্টারনেটের সার্ভিস প্রোভাইডারদের সাথে যোগাযোগে আছি যাতে স্বাভাবিক পরিষেবা আবার শুরু করা যায়।
এইরকম কঠিন সময় একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা খুব জরুরি।(1/2)
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) May 21, 2020
বুধবার রাতেই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হওয়ার জন্য ক্ষয়ক্ষতির সঠিক খবর এখনও মেলেনি। তবে শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির আশঙ্কা, কয়েক হাজার কোটি...হয়তো বা কয়েক লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গেছে। পুকুর ভেসে গেছে, নদীর বাঁধ ভেঙে গেছে। চাষের জমি জলের তলায়। ভেঙে পড়েছে শ'য়ে শ'য়ে কাঁচাবাড়ি।
কলকাতার পরিস্থিতিটাও ভয়ঙ্কর। দমকল, কলকাতা পুলিশ এবং পুরসভার কর্মীরা একযোগে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। জলে ভাসছে কলকাতা বিমানবন্দরের একাংশ। হ্যাঙারে থাকা বিমানগুলির অনেকটা অংশই ডুবে গিয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রকোপের জেরে এমনিতেই ক্ষতির মুখে বিমানসংস্থাগুলি। তারউপর আম্ফানের জেরে আরও বড় সঙ্কটের মুখে কলকাতা বিমানবন্দর। ঠিক কত পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, সেটি এখনও সঠিক তথ্য মেলেনি বিমাবন্দরের তরফে। তবে, কলকাতার এই ধ্বংসলীলা দেখে দুই চব্বিশ পরগণা, পূর্ব মেদিনীপুরের পরিস্থিতি যে কতটা ভয়ঙ্কর হয়েছে। তা কিছুটা হলেও আন্দাজ করা যাচ্ছে।