কলকাতা, ২৪ জুন: কসবায় জাল ভ্যাকসিন চক্রের পর্দা ফাঁসের ঘটনায় এবার মুখ খুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কসবায় যেভাবে আইএস অফিসারের ছদ্মবেশে যে ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়, তাতে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের কতটা গাফিলতি ছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু অধিকারী।পাশাপাশি কসবায় (Kasba) যে জাল ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়, সেখানে যদি একজন সাংসদ প্রতারিত হন, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায় বলে প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু।
প্রসঙ্গত, বুধবার কসবার একটি ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পে হাজির হন মিমি চক্রবর্তী। পুরসভার যুগ্ম কমিশনারের উদ্যোগে সেখানে বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন শিশু এবং সমকামী মানুষদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। আমন্ত্রণ পত্র পেয়ে সেখানে হাজির হন মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)। অন্যদের সঙ্গে মিমি নিজেও ভ্যাকসিন নিয়ে নেন। ভ্যাকসিন (Corona Vaccine) নেওয়ার পর মিমির মোবাইলে কোনও মেসেজ আসেনি। সার্টিফিকেটের জন্য জিজ্ঞাসা করলে, জানানো হয়, তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে। বাড়িতে সার্টিফিকেট না পৌঁছনোর পর মিমি চক্রবর্তীর সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে। এরপরই কসবার ওই ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্প নিয়ে তিনি খোঁজ শুরু করেন। পুলিশকে খবর খবর দেন। ওই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: 'আমরা সবাই ভিক্টিম', ভুয়ো ভ্যাকসিন চক্রের পর্দা ফাঁসের পর সচেতনতার বার্তা মিমির
Fake vaccination camp at Kasba l organised by a fraud, impersonating as IAS officer raises doubts on the State Health Department's diligence & adherence to protocols in regards to the vaccination drive. With a MP getting duped, what about the safety of public? @drharshvardhan
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) June 24, 2021
বুধবারের ঘটনায় নিয়ে যখন জোর শোরগোল শুরু হয়, সেই সময় মিমির শরীরে ভ্যাকসিনের নাম করে কী দেওয়া হয় বলে প্রশ্ন ওঠে । যার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরসভার ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ দলের তরফে পেশ করা হয় একটি প্রাথমিক রিপোর্ট। যেখানে জানানো হয়, কসবায় যে ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়, সেখান থেকে পাউডার গোলা জল ইনজেকশনের মাধ্যমে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় বলে খবর।