কলকাতা, ২৩ ডিসেম্বর: দেশে করোনার সংক্রমণ ২০ হাজারের নিচে নামলেও বাংলায় সংক্রমণের (Coronavirus Cases In West Bengal) গতিপ্রকৃতি নিয়ে দোলাচাল চলছে। প্রথমে কমে আড়াই হাজারে দাঁড়ায় রাজ্যের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। পরে তা বেড়ে হয় তিন হাজার। এরপরে ফের কমে দেড় হাজারে চলে এসেছিল সংক্রমণ। তবে সম্প্রতি টেস্টের সংখ্যা কমে যাওয়ায় দৈনিক সংক্রমণের সঠিক সংখ্যা জানা যাচ্ছিল না। এদিকে সোমবার টেস্ট বাড়তেই সংক্রমণ ফের বেড়েছে। তবে তা আয়ত্তের মধ্যেই রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার কবলে মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের! দৈনিক আক্রান্ত ও দৈনিক সুস্থতার মধ্যে ব্যবধানও অনেকটা কম। ফলে, অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা কমেও কমছে না।
অন্যদিকে সংক্রমণের হঠাৎ ওঠা-নামা ও মৃত্যু এখনও দুশ্চিন্তায় রাখছে বিশেষজ্ঞদের। সোমবার রাজ্যে ৪০ হাজার ১৫৬টি নমুনার কোভিড টেস্ট হয়েছে গত একদিনে। রাজ্যে প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যায় টেস্ট হয়েছে ৭৫,২৮৮ জনের। গত কয়েক দিন ধরেই সংক্রমণের হার একটু একটু করে কমছে। মঙ্গলবার সংক্রমণের হার ছিল ৭.৯৭ শতাংশ। মৃত্যুর নিরিখেও সবার আগে রয়েছে কলকাতা। সোমবার শহরে করোনার বলি ১০ জন। এছাড়া উত্তর ২৪ পরগনায় ৬ জন, হাওড়ায় ৫ জন, নদীয়াতে ৪ জন, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম ও দক্ষিণ দিনাজপুরে ২ জন করে এবং হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, দার্জিলিং ও কোচবিহারে একজন করে মারা গিয়েছেন। আরও পড়ুন-Kolkata: সন্দেহের জের, শহরের রাজপথে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন স্বামীর
জানুয়ারিতেই চলে আসবে করোনার টিকা। সোমবার সেই আশ্বাসকে আরও দৃঢ় করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর হর্ষবর্ধন (Harsh Vardhan)। তিনি জানান, ভারত আগামী ২১-এর জানুয়ারিতেই টিকাকরণের জায়গায় চলে আসবে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর টুইটে জানা গিয়েছে, গত ৪ মাসধরে কেন্দ্রের সরকার এনিয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে জেলা ও ব্লক স্তরে প্রস্তুতি নিয়েছে। তিনি আরও জানান, এই কোভিড-১৯ হয়তো পোলিওর মতো নির্মূল হবে। যদিও পোলিও এবং কোভিড-১৯ দুটোই আলাদা রোগ। যদিও বিজ্ঞানসম্মত ভাবে এটিকে দূর করা সম্ভব। করোনার ভয়াবহতাও এক সময় হ্রাস পাবে। তবে দেশ থেকে এখন করোনার আতঙ্ক অনেকটাই কেটেছে। কিন্তু নিরাপদে থাকতে মানুষকে এখনও কোভিড প্রোটোকল অনুসরণ করতে হবে।