নতুন দিল্লি, ২১ নভেম্বর: গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) দেশজুড়ে এনআরসি হওয়ার প্রস্তাবকে বিঁধলেন পলিটিক্যাল স্ট্রাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। গতকাল এই ঘটনায় তিনি টুইট করে বলেছেন, "১৫টিরও বেশি রাজ্যে (State) অবিজেপি (Non BJP) সরকারের মুখ্যমন্ত্রী (Chief Ministers) শাসন করছে। দেশের ৫৫ শতাংশ জনসংখ্যা রয়েছে ওই রাজ্যগুলিতে। ক' জন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে বা রাজি করানো গিয়েছে তা জানতে চাইছি।''
গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee) অমিত শাহের দেশজুড়ে এনআরসি হওয়ার প্রতিবাদ করে জানান, এ রাজ্যে NRC কার্যকর করা হবে না। NRC বাংলার মানুষকে সাম্প্রদায়িক ধারায় বিভক্ত করার লক্ষ্যে। রাজ্যে তৃণমূল (TMC) ক্ষমতায় থাকাকালীন এর বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে। আরও পড়ুন, 'পশ্চিমবঙ্গে NRC হবে না', অমিত শাহর ভাষণের পর আবারও জানিয়ে দিলেন মমতা ব্যানার্জি
15 plus states with more than 55% of India’s population have non-BJP Chief Ministers. Wonder how many of them are consulted and are on-board for NRC in their respective states!!
— Prashant Kishor (@PrashantKishor) November 20, 2019
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গতকাল জানিয়েছেন, ধর্মের ভিত্তিতে ভাগাভাগি হবে না, একথা বলার পরেই তিনি জানান, প্রতিবেশী বাংলাদেশ, পাকিস্তান থেকে চলে আসা সেদেশের সংখ্যালঘুরা (Minorities) এখানে শরণার্থীর (Refugee) মর্যাদা পাবেন। এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, সেদেশ থেকে আসা মুসলিমরা এখানে অনুপ্রবেশকারী হিসেবেই বিবেচিত হবেন। অসমে নাগরিক পঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা থেকে ইতিমধ্যেই ১৯ লক্ষের বেশি মানুষের নাম বাদ গিয়েছে। কিন্তু ফরেনার্স ট্রাইবুনালে তাঁরা আবেদন করতে পারেন বলে এ দিনও জানান অমিত শাহ। তিনি বলেছেন, ‘‘তালিকায় নাম বাদ গেলে ফরেনার্স ট্রাইবুনালে যাওয়ার অধিকার রয়েছে প্রত্যেকের। অসমের বিভিন্ন প্রান্তে এই ট্রাইবুনাল গড়ে তোলা হবে। কারও সামর্থ্য না থাকলে, অসম সরকার তাঁর আইনজীবীর খরচ বহন করবে।’’