
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। রাজভবনে (Raj Bhavan) কর্মরতা এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছেন। খাস রাজভবনের মধ্যে খোদ রাজ্যপাল তাঁকে অশালীন ইঙ্গিত দিতে খারাপ ভাবে স্পর্শ করার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ তুলে পুলিশের দারস্ত হয়েছেন তিনি। চিঠি লিখে নিজের অভিযোগের কথা পুলিশকে জানিয়েছেন অভিযোগকারী মহিলা। তবে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে এইভাবে সরাসরি থানায় অভিযোগ দায়ের করা যায় না। তাই প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্যে বিশেষ দল গঠন করেছে কলকাতা পুলিশ। ডেপুটি কমিশনার (সেন্ট্রাল ডিভিশন) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে বলে খবর। তিনি জানিয়েছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ঘটনার কিছু সম্ভাব্য সাক্ষীর সঙ্গে কথা বলবে তাঁর দল। যদি সন্দেহভাজন কিছু মনে হয় তাহলে রাজভবনের সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চাওয়ার জন্যে অনুরোধ জানানো হবে।
তবে রাজ্যপাল তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির অভিযোগ একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ওই মহিলা কর্মীর অভিযোগ সামনে আসার পর রাজভবনের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, রাজ্যপালকে কালিমালিপ্ত করতে এই মিথ্যা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। বিজেপির তরফে পালটা অভিযোগ, সন্দেশখালির ঘটনা থেকে নজর ঘোরাতে এইসব করছে শাসক দল।
কলকাতা পুলিশের তরফে ঘটনার তদন্তে বিশেষ দল গঠন করা হলেও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেওয়ার এক্তিয়ার পুলিশের নেই। কারণ সংবিধান অনুযায়ী, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার তদন্ত করতে পারে না পুলিশ। এমনকি সেই নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা আদালত কিংবা রাজ্যের হাতেও নেই। একমাত্র সেই ক্ষমতা রয়েছে সংসদের হাতে।