Mamata Banerjee. Photo Source: ANI/Twitter

কলকাতা, ১২ মে: ১৭ মে শেষ হচ্ছে তৃতীয় লকডাউন। এদিকে করোনা (Coronavirus) আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। লকডাউনের জেরে গ্রামীণ অর্থনীতি থমকে রয়েছে। সবমিলিয়ে মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকে ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির (CM Mamata Banerjee)। পাশাপাশি সাংবাদিক বৈঠকে মমতা জানিয়ে দিলেন, “পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে আসছেন।আরও ১০০টি ট্রেন রাজ্যে আসবে।”

মহারাষ্ট্র থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে উচ্চবাচ্য করছেন না মমতা। এনিয়ে কিছুদিন এগেই সরগরম হয়ে উঠেছিল রাজনীতির মঞ্চ। সেই অভিযোগ নস্যাৎ করে মমতা ব্যানার্জি এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “ইতিমধ্যেই ৯টি ট্রেন পশ্চিমবঙ্গে আসার কথা রয়েছে। ১টি আজই আসছে। আরও ১০০টি ট্রেনকে আমরা রাজ্যে আসার অনুমতি দিয়েছি। তবে সমস্ত কিছুই ধাপে ধাপে করতে হবে। কারণ যারা ফিরছেন তাদের সকলের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হচ্ছে এবং তাদেরকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও করছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই প্রায় ১ লাখ মানুষ রাজ্যে ফিরেছেন। তাই তাড়াহুড়ো না করে বাকি রাজ্যে থাকা মানুষদেরও আমরা ধীরে ধীরে ফিরিয়ে আনব।“ পরিকল্পনা ছাড়া লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জেরে এমন সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেন মমতা।

ভিন রাজ্যে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকেরা একে একে ফিরছেন নিজেদের রাজ্যে। অনেক রাজ্যতেই পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কিন্তু বাংলায় যাতে পরিযায়ী শ্রমিকদের তেমন কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়, সেই বন্দোবস্তই করছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, “রাজ্যে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১ লক্ষের বেশি মানুষ এসেছেন। প্রায় ৯০ হাজার মানুষ এসেছেন বাসে করে।” বাসে বা বেসরকারি গাড়ি করে যারা ফিরছেন, তারা রাজ্যে ফিরে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। সেই সমস্যার সমাধান করে মমতা বলেন, ”বাসে কিংবা গাড়িতে যারা রাজ্যে আসবেন তাদের আগে থেকে জানাতে হবে।”

কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রাপ্য বকেয়া ৫৩ হাজার কোটি টাকা। ইতিমধ্যেই নরেন্দ্র মোদির কাছে সেই বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে আরও একবার এই বিষয়টির আলোকপাত করলেন তিনি। মমতা বলেন, “এই পরিস্থিতিতেও রাজ্যকে দেনা শোধ করতে হচ্ছে। রেশনের জন্য বিপুল পরিমাণ খরচ হচ্ছে।” পাশাপাশি তিনি ১০০ দিনের কাজের কথাও উল্লেখ করে বলেন, ১০০ দিনের কাজে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে বাংলা। কিন্তু লকডাউনের জেরে এসমস্ত কিছু বন্ধ রয়েছে প্রায় গত দু’মাস ধরে। যার জেরে ভেঙে পড়েছে গ্রামীণ অর্থনীতি।