কলকাতা, ৫ জুলাই: মহম্মদ আলি পার্কে (Mummad Ali park) এবার আর দুর্গাপুজো (Durga Puja) হবে না, জানিয়ে দিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পার্কের ভুগর্ভস্থ জলাশয়ের পাঁচিলে ভাঙন ধরতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুজো কমিটি। এদিন কলকাতা পুরসভাকে চিঠি দিয়ে তা জানিয়েছেন পুজোর সভাপতি প্রবীণ হেমচাঁদ জৈন। তবে শুধু এবছরের জন্য মহম্মদ আলি পার্কের পুজো সরছে পুরনো জায়গায়। জলাশয়ের পাঁচিল মেরামতির কাজ হয়ে গেলে আগামী বছর থেকে এখানেই হবে পুজো। আরও পড়ুন-Jeetu Kamal: রাতের কলকাতায় শ্যুটিং সেরে বাড়ির ফেরার পথে আক্রান্ত অভিনেতা, ঊষষীর পর এবার জিতু কমলকে হেনস্থা
জানা গিয়েছে, মহম্মদ আলি পার্কে ভূগর্ভস্থ জলাধার তৈরি হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে। জলাধারের ইটের পাঁচিল দুর্বল হয়ে পড়েছে, কয়েক দিন তার একাংশ ভেঙে যাতেই সমস্যাটা নজরে আসে। পুজোর সময় মহম্মদ আলি পার্কে জনসমাগম হয় প্রচুর। তখন জলাধারের পাঁচিল ভেঙে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই আগে থেকেই পুজো অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মেয়র এবং মেয়র পারিষদের অনুরোধে স্থান বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহম্মদ আলি পার্ক পুজো কমিটির সভাপতি হেমচাঁদ জৈন। প্রবীণ হেমচাঁদবাবু জানান, ওই পুজোর সূচনা হয়েছিল ৫০ বছর আগে। সে সময়ে পুজো হত পার্কের উল্টো দিকে মুনলাইট সিনেমা হলের কাছে, ৩৯ নম্বর তারাচাঁদ দত্ত স্ট্রিটে। সেখানে টানা ১৪ বছর পুজো চলে। পরে ওই জায়গায় পুজো করা নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। জ্যোতি বসু মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন জায়গা বদল করতে বলা হয়। তৎকালীন নগরোন্নয়নমন্ত্রী প্রশান্ত শূর মহম্মদ আলি পার্কে পুজো করার অনুমতি দেন। সেই থেকে পার্কে পুজো হচ্ছে
পুরসভার পার্ক ও উদ্যান দপ্তরের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার জানান, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে সমীক্ষা করানো হয়েছে। প্রশাসনকে বিশেষজ্ঞেরা জানান, জলাধারের ইটের কাঠামো খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছে। অবিলম্বে তা নতুন করে তৈরি করতে হবে। আর সেই সময়ের মধ্যে পার্কের উপরে কোনও রকম চাপ দেওয়া চলবে না। তা হলে, জলাধারের বাকি অংশও ভেঙে পড়তে পারে। এর পরেই মেয়র ফিরহাদ হাকিম পার্ক পরিদর্শন করে পুজো কমিটির সদস্যদের সঙ্গে এক বৈঠক করেন। সেখানেই মেয়র তাঁদের জানান, পার্কের যা অবস্থা তাতে সেখানে এবার পুজো করা খুব বিপজ্জনক হবে। এবারের মতো পুজোর জায়গা বদল করলে ভাল হয়।