কলকাতা, ২৮ ফেব্রুয়ারি: দিনে দিনে বাড়ছে শিশুমৃত্যুর (Child Death) সংখ্যা। শিশুমৃত্যুর সংখ্যা ঠেকাতে তৎপর প্রশাসন। কিন্তু অভিশাপ কাটছে না। ফের শিশুমৃত্যুর ঘটনায় শিরোনামে এনআরএস হাসপাতাল (NRS Hospital)। এবার অভিযোগ, নিম্নমানের সুতো দিয়ে অস্ত্রোপচার করা হয় শিশুর। তার ফলে কমপক্ষে তিনবার সুতো ছিঁড়ে যায়। পরিজনদের অস্ত্রোপচারের জন্য সুতোও কিনে দিতে বলা হয় বলেও অভিযোগ। আর এই সমস্ত ধকল সহ্য করতে না পেরেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে মাত্র দশ দিন বয়সের শিশুটি। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধেতেই মৃত্যু হয় তাঁর।
জানা গিয়েছে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি এনআরএস হাসপাতালে প্রথমবার খুদের অস্ত্রোপচার হয়। তারপর ২২ ফেব্রুয়ারি এবং ২৬ ফেব্রুয়ারিও অস্ত্রোপচার করা হয় একরত্তির। কিন্তু কেন তিনবার একই ক্ষতস্থানে অস্ত্রোপচার করা হল ওই সদ্যোজাতের (New Born Baby)? শিশুর পরিবারের দাবি, এনআরএসের পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা তাঁদের পরিবারের ছোট্ট সদস্যের অস্ত্রোপচার করেছেন। বারবারই সুতো ছিঁড়ে গিয়েছে। তাই তৃতীয়বার অস্ত্রোপচারের সময় বাইরে থেকে সুতোও কিনে আনতে বলেন চিকিৎসকরা। পরিবারের লোকেরা সুতো কিনেও এনে দেন। তবে তৃতীয়বার অস্ত্রোপচারের পর থেকেই তার ক্ষতস্থান দিয়ে রক্ত বেরোতে শুরু করে। ক্রমশই নিস্তেজ হয়ে যেতে থাকে সদ্যজাতের শরীর। অবশেষে মৃত্যু হয় একরত্তির। তাঁদের অভিযোগ, সম্ভবত নিম্নমানের সুতো ব্যবহারের ফলে সেপটিক হয়ে গিয়েছিল। তাই মৃত্যু হয়েছে দশদিনের ওই শিশুর। সংবাদ প্রতিদিনের খবর অনুযায়ী, শিশুমৃত্যুর পর থেকে ক্ষোভে ফুঁসছেন তার পরিজনেরা। ইতিমধ্যেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা। একই ক্ষতস্থানে পরপর তিনবার কেন সেলাই করলেন চিকিৎসকরা? উঠছে সেই প্রশ্ন। আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: 'তিনি এলেন, বললেন, এবং চলে গেলেন', কবিতা লিখলেন মমতা ব্যানার্জি
সাধারণত, অস্ত্রোপচারের (Operation) পর সেলাই করার জন্য প্রয়োজনীয় সুতো হাসপাতালেই মজুত থাকে। তা সত্ত্বেও কেন শিশুর পরিজনদের সুতো কিনে আনার কথা বলা হল, প্রশ্ন উঠছে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একাংশের দাবি, বেআইনি হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র শিশুর প্রাণরক্ষার তাগিদেই সেলাইয়ের সুতো কিনে দিতে বলা হয়েছিল পরিজনদের। যে সংস্থা সুতো সরবরাহ করে, এই ঘটনার পর তাদের খোঁজ চালাচ্ছে এনআরএস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আর সবচেয়ে বড় কথা কেন অস্ত্রোপচারের পর সেলাই করার সময় নিম্নমানের সুতো ব্যবহার করা হল? সেই প্রশ্নেই চিকিৎসকদের বিঁধছেন শিশুর পরিবারের লোকজনেরা।