Mamata Banerjee. (Photo Credits: Twitter)

কলকাতা, ৩ অক্টোবর: ভবানীপুর উপনির্বাচনে রেকর্ড মার্জিনে জয়ের পর চলতি মাসে হতে চলা রাজ্যের বাকি চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। খড়দহ কেন্দ্রে প্রার্থী করা হল শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chattopadhyay) কে। দিনহাটা কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন উদয়ন গুহকে, শান্তিপুরে তৃণমূল প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী। আর গোসাবায় প্রার্থী হচ্ছেন সুব্রত মণ্ডল। আগামী ৩০ অক্টোবর, রাজ্যের এই চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে।

করোনার কারণে ভোটের ঠিক পরে মারা যান খড়দহ-এর তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহা। যদিও ভোট গণনার পর দেখা যায় তিনি জিতে গিয়েছেন। গোসবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর কোভিড পরবর্তী সমস্যায় মারা যাওয়ায় সেখানে উপনির্বাচন হবে।

দেখুন টুইট

আর শান্তিপুর ও দিনহাটা কেন্দ্রে বিজেপি-র জয়ী বিধায়করা পদত্যাগ করে সাংসদ থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সেখানে ভোট হবে। আরও পড়ুন: মার্জিন ৫৮ হাজার ৮৩২, রেকর্ড ভোটে জিতলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে তৃণমূল কর্মীরা, বিজয় মিছিলে জারি নিষেধাজ্ঞা

এদিকে, ভবানীপুরে জয়ের পর মমতা বলেন, নন্দীগ্রামে চক্রান্তের জবাব দিল ভবানীপুর। মমতা বলেন, "আমায় চক্রান্ত করে নন্দীগ্রামে হারানো হয়েছিল। সেই চক্রান্তের জবাব দিল ভবানীপুর। এরপর দিদি সতর্ক হয়ে বলেন, নন্দীগ্রামের ঘটনা এখনও বিচারাধীন, তাই  তা নিয়ে তিনি কথা বলতে চান না তবে আসলে বাংলা কি চায় ভবানীপুর তা স্পষ্ট করে দিয়েছে।"

দেখুন টুইট

আগের সব মার্জিন ছাপিয়ে গেল। ভবানীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে রেকর্ড ভোটে জিতলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দিদির জয় নিয়ে কোনও সন্দেহ ছিল না। ক মাস আগে নন্দীগ্রামে তিনি সামান্য ব্যবধানে হারলেও, গোটা রাজ্যে তিনি যেভাবে জিতেছিলেন, তাতে ক মাসের মধ্যে উপনির্বাচনে তাঁর জয় নিয়ে কারও সন্দেহ থাকার কথাও থাকার কথা নয়। তার ওপর কেন্দ্রটার নাম যদি হয় ভবানীপুর। সবার মুখে একটাই আলোচনা ছিল, তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের মার্জিনটা কত হবে তা নিয়ে। বিজেপি আশায় ছিল মমতার মার্জিন কমানোর।

অন্তত শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের থেকে কম ব্যবধানে জিতলেও বিজেপির মুখরক্ষা হত। কিন্তু শেষ অবধি এই বিধানসভা কেন্দ্রের আগের সব রেকর্ড ভেঙে মমতা জিতলেন ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটের ব্যবধানে। যেখানে ক মাস আগে এই কেন্দ্রের বিধানসভা নির্বাচনে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জিতেছিলেন সাড়ে ২৮ হাজারের কিছু বেশি ভোটের ব্যবধানে।