কলকাতা, ১ জুন: করোনা (Coronavirus) আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে রাজ্যে। সমস্ত রেকর্ড ভেঙে রবিবার অর্থাৎ ৩১ মে মাত্র ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৫১। ভিন রাজ্য থেকে রাজ্যে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদেরই (Migrant Workers) দায়ী করা হচ্ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধিতে। কিন্তু আদৌ কী তাই? করোনা আক্রান্তকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে আরও একবার রাজ্য সরকারকেই কাঠগড়ায় তুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar)। করোনা আক্রান্তকারীর সঠিক তথ্য প্রাথমিকভাবে চেপে যাওয়ার জেরেই বাড়ছে করোনা আক্রান্তকারীর সংখ্যা বলে দাবি করলেন রাজ্যপাল।
ঠিক কতগুলো পরীক্ষার রিপোর্ট এখনো প্রকাশিত হয়নি সেই ব্যাপারে যদি @derekobrienmp একটু আলোকপাত করেন, যেহেতু তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার মুখপাত্র @MamataOfficial।
আমি মুখ্যসচিবকে জানিয়েছি যে এই সংখ্যাটি হয়তো 40,000 এর থেকেও কিছু বেশি, যা যথেষ্ঠই উদ্বেগজনক বিষয়।(1/3)
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) June 1, 2020
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় পরপর তিনটি টুইট করেন। প্রথম টুইটে তিনি দাবি করেছেন, "ঠিক কতগুলো পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও প্রকাশিত হয়নি সেই ব্যাপারে ডেরেক ও ব্রায়ান যদি একটু আলোকপাত করেন। কারণ তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে তৃণমূলের মুখপাত্র। আমি মুখ্যসচিবকে জানিয়েছি যে এই সংখ্যাটি হয়তো ৪০,০০০ এর থেকেও কিছু বেশি, যা যথেষ্ঠই উদ্বেগজনক বিষয়।"
এই ক্রমান্বয়ে সংখ্যাবৃদ্ধি মূলতঃ গৌণপর্যায়ভুক্ত তথ্যবিকৃতির কারণে ঘটছে। এতে কারো বিন্দুমাত্র লাভ হয়না। তথ্যগোপন করে কখনো কোনো কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যায়না।(3/3)
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) June 1, 2020
করোনা-পরীক্ষার পর যদি সেই পরীক্ষার রিপোর্ট আসতে দেরি হয়। তাহলে করোনা পরীক্ষার উদ্দেশ্যই সফল হবেনা। এমনটাই দাবি করেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি রাজ্যে 'করোনাভাইরাসে আক্রান্তকারীর সংখ্যা তথ্যবিকৃতির কারণেই ক্রমশ বাড়ছে', টুইট করে একথা দাবি করেন জগদীপ ধনখড়। 'তথ্যগোপন করে কোনও কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা যে করা যায়না,' সেকথাও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন রাজ্যপাল। কারণ 'সঠিক তথ্য মানুষের কাছে পৌঁছলে মানুষ আগেভাগে সচেতন হতে পারতেন', এতে 'করোনা আক্রান্তকারীর সংখ্যা কিছুটা হলেও হ্রাস টানা সম্ভব হত' বলে জানালেন জগদীপ ধনখড়।