Covid-19 In West Bengal: কলকাতায় টেস্ট করা প্রতি ২ জনে ১ জন করোনা পজিটিভ,  রাজ্যে প্রতি ৪ জনে ১ জন আক্রান্ত
(Photo Credits: PTI)

কলকাতা, ২৫ এপ্রিল: কলকাতা (Kolkata) ও শহরতলিতে আরটি-পিসিআর টেস্ট (RT-PCR tests) করা প্রতি ২ জনের মধ্যে ১ জন করোনা পজিটিভ (Covid-positive)। রাজ্যের বাকি অংশে এই সংখ্যা ৪ জনে ১ জন। এই হার চলতি মাসে ছিল ২০ জনে ১ জন। অর্থাৎ ২০ জনের টেস্ট করলে দেখা যেত ১ জন করোনা পজিটিভ। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি খবরে এই পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের এক সরকারি হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসক বলেন, এটি কেবল আইসবার্গের মাথা। প্রকৃত পজিটিভ হার অনেক বেশি হবে। এমন অনেক রোগী আছেন যাঁরা নিজেরাই পরীক্ষা করাচ্ছেন না। আমরাও যথেষ্ট পরীক্ষা করছি না। আমাদের আরও পরীক্ষা করা থেকে বিরত থাকলে হবে না কারণ এই ওয়েভকে রোখার জন্য টেস্ট বড় হাতিয়ার।"

১ এপ্রিল রাজ্যে ২৫ হাজার ৭৬৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়। তার মধ্যে মাত্র ১ হাজার ২৭৪টি নমুনা পজিটিভ আসে। পজিটিভ হওয়ার হার ছিল ৪.৯ শতাংশ। গতকাল শনিবার, রাজ্যজুড়ে ৫৫ হাজার ৬০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তার মধ্যে পজিটিভ আসে ১৪ হাজার ২৮১টি নমুনা। অর্থাৎ পজিটিভ আসার হার বেড়ে হয়েছে ২৫.৯ শতাংশ। পিয়ারলেস হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজিস্ট ভাস্কর নারায়ণ চৌধুরী বলেছেন, "একটি কারণ হল মিউট্যান্ট ভাইরাসটির উচ্চ সংক্রমণযোগ্যতা যা অল্প সময়ে খুব বেশি সংখ্যক মানুষকে সংক্রামিত করছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুরো পরিবারগুলি সংক্রামিত হচ্ছে। পজিটিভিটির হার বাড়ার আরও একটি কারণ হল যাদের কেবল উপসর্গ আছে তারাই কেবল টেস্ট করাচ্ছে।" আরও পড়ুন: Coronavirus Cases in West Bengal: ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার ২৮১ জন, মৃত ৫৯

মেডিকা গ্রুপ অফ হসপিটালস-র চেয়ারম্যান অলোক রায় বলেন, "আমাদের ল্যাবটিতে পজিটিভিটি হার প্রায় ৫০% বেড়েছে। নমুনা পরীক্ষার চাপ প্রচণ্ড। তবে এটি ভালো যে লোকজন টেস্ট করাচ্ছে।" কলকাতার নাইসেডের এক আধিকারিক বলেন, "আমাদের গবেষণাগারে বর্তমানে পজিটিভ রিপোর্টের হার প্রায় ৫৫ শতাংশ।"

স্বাস্থ্য বিভাগের সূত্র জানিয়েছে, কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হাওড়ার রেকর্ড সংখ্যায় আক্রান্ত বাড়ছে। বর্ধমান, মালদা ও মুর্শিদাবাদের মতো জেলাগুলিতেও এই হার বাড়ছে। নাইসেডে-র আধিকারিক বলেছেন, "জেলাগুলিতে সংক্রমণের হার এবং কোভিডের সংখ্যা বেশ বেশি হতে পারে তবে প্রকৃত দৃশ্যটি জানতে সেখানে পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো দরকার।"