কলকাতা, ২৫ জলুাই: ফুসফুসজনিত সমস্যায় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ধুপগুড়ির বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায় প্রয়াত হলেন। বিধানসভার বাদল অধিবেশন যোগ দিতে কলকাতায় আসা জলপাইগুড়ির বাসিন্দা ৬১ বছর বয়সী বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়ের মৃত্যুতে রাজ্য রাজনীতিতে শোকের ছায়া। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে টুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে ধুপগুড়ি কেন্দ্রে সেই সময়ের বিধায়িকা তৃণমূলের মিতালি রায়কে ৪৩৫৫ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে বিজেপির টিকিটে বিধায়ক হন।
বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিতে কলকাতায় এসে রবিবার অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সোমবার দুপুরে শ্বাসকষ্ঠ দেখা দেওয়ায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। হাসপাতালে ছিলেন বিজেপি নেতা মনোজ টিগ্গাও। রাতে তাঁর অস্ত্রোপচারও হয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। এরপর আজ, মঙ্গলবার সকালে এসএসকেএম হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
দেখুন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের টুইট
জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মাননীয় শ্রী বিষ্ণুপদ রায়ের প্রয়াণে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর এই অকাল বিদায়ে বাংলার পরিষদীয় রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এক শূন্যতার সৃষ্টি হল।
আমি শ্রী রায়ের আত্মীয়-পরিজন, বন্ধুবান্ধব ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাই।
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) July 25, 2023
দেখুন ছবিতে
Legislators paid respectful tribute to Late Bishnu Pada Roy, a sitting Member of Legislative Assembly of West Bengal at Vidhan Sabha. We cherish his memories; one of the longest serving @BJP4Bengal Karyakarta, Shri Roy lived as a neighbour next door in Kolkata. I am deeply… pic.twitter.com/GcgAmW8FE3
— Sreerupa Mitra Chaudhury Nirbhoy Didi, Legislator (@sreerupa_mitra) July 25, 2023
বিষ্ণুপদ রায়ের মৃত্যুতে রাজ্যে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা আরও কমে গেল। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ৭৭টি আসনে জয়ের পর, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিজেপি বিধায়করা তৃণমূলে ফিরে যান। তাদের একের পর এক বিধায়ক দল ছাড়ায় এতে চাপে পড়ে যায় রাজ্য বিজেপি। পঞ্চায়েতে সন্ত্রাস হলেও বিজেপি যে খারাপ ফল করেছে তা নিয়ে সন্দেহ নেই। এর মাঝে দলীয় বিধায়কের মৃত্যুতে চিন্তা বাড়ল পদ্মশিবিরে। কারণ রাজনৈতিক মহলের ধারনা উপনির্বাচনে ধুপগুড়ি ধরে রাখার কাজটা মোটেও সহজ হবে না বিজেপির পক্ষে। ধুপগুড়ির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা মানিকতলা বিধানসভার উপনির্বাচনও হয় কি না দেখার।