Garden Reach Building Collapse (Photo Credits: X)

১৮ মার্চ, সোমবারের সকালটা আর পাঁচটা দিনের থেকে অন্যরকম ছিল কলকাতাবাসীর কাছে। এদিন সকালের শুরুই হয়েছিল মেটিয়াব্রুজে বিপর্যয়ের সংবাদ দিয়ে। রবিবার মাঝরাতে গার্ডেনরিচের একটি পাঁচতলা নির্মীয়মাণ বহুতল হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। যার একাংশ গিয়ে পড়েছে পাশের বস্তিতে। নির্মাণকর্মী থেকে শুরু করে বহু বস্তিবাসী ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়েন। সেই রাতেই শুরু হয় উদ্ধারকাজ। প্রাথমিকভাবে ২ জনের মৃত্যুর খবর জানা গিয়েছিল। কিন্তু বেলা যত এগিয়েছে উদ্ধারকাজও তত এগিয়েছে। বহুতলের ধ্বংসস্তূপ যত সরেছে নীচ থেকে বেরিয়ে আসছে একের পর এক লাশ। সর্বশেষ পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ধ্বংসাবশেষ থেকে এখনও অবধি ৭ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীরা জানাচ্ছেন, এখনও চাপা পড়ে অনেকে। ২ থেকে ৮ হয়েছে, ৮ থেকে আরও বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা।

মেটিয়াব্রুজে নির্মীয়মাণ বহুতল ধসে (Metiabruz Building Collapse) পড়ার খবর পাওয়া মাত্রই সোমবার সকাল সকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান অসুস্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কপালে চোটের কারণে কটাদিন চিকিৎসক তাঁকে বিশ্রাম নিতে বলেছেন। কিন্তু নিজের বিশ্রাম উপেক্ষা করে এদিন প্রথমে তিনি ঘটনাস্থলে যান। এরপর সেখান থেকে মমতা আহতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান হাসপাতালে। রোগীদের মাথায় আশ্বাসের হাত রাখেন। নিহত এবং আহতদের পবিবারের পাশে থাকার ভরসা জুগিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে রাজ্যে এই নির্মীয়মাণ বহুতল ধসের পিছনে শাসক দলের নেতা মন্ত্রীদের দুষছে বিরোধীরা। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ তুলেছেন 'কাটমানি'র প্রসঙ্গ। তাঁর অভিযোগ, কাউন্সিলর থেকে স্থানীয় নেতা, বিধায়ক, সাংসদ প্রত্যেককে কাটমানি দেওয়ার পর যে সামান্য টাকা বেঁচে থাকে তাই নিয়ে ইট, বালি কিনে তৈরি হচ্ছে বহুতল। স্বাভাবিক ভাবেই তা ভেঙে পড়বে।

অন্যদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে রাজনীতি না করার অনুরোধ করলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ()। তিনি বার্তা দেন, রাজনীতি পরেও করার সুযোগ পাবে সবাই। কিন্তু এই মুহুর্তে যেটা গুরুত্বপূর্ণ তা হল সাহায্যের হাত বেরিয়ে দেওয়া।