কলকাতা, ৮ জানুয়ারি: মালদহের সুজাপুরে (Maldah) ভারত বনধকে (Bharat Bandh) কেন্দ্র করে বিক্ষোভ পৌঁছাল চরমে। অভিযোগ পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি ভেঙে বিক্ষোভকারীদের ঘাড়ে দায় চাপানোর চেষ্টা করছে। এই অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে কংগ্রেস ও বাম নেতৃত্ব। দলের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম এ দিন সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশে যোগীর পুলিশ যা করেছে, পশ্চিমবঙ্গে আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ ঠিক সেই কাজই করল। যোগীর পুলিশ ওখানে যে ভাবে গাড়ি ভাঙচুর করেছে, দোকানপাট ভাঙচুর করেছে, আজ মালদহের সুজাপুরে মমতা ব্যানার্জির পুলিশ সে ভাবেই গাড়ি ভাঙচুর করেছে।’’ ধর্মঘটের বিরুদ্ধে রাজ্য প্রশাসনের সক্রিয়তার নিন্দায় সরব হয়েছেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরি।
এদিন অধীরবাবু বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে যদি আজ অশান্তি কিছু হয়ে থাকে, তা হলে তার পুরো দায় মমতার। নিজে যখন বিরোধী আসনে ছিলেন, তখন তো কম বনধ-অবরোধ মমতা ব্যানার্জি করেননি। এখন হঠাৎ সব ছেড়েছুড়ে সাধ্বী সাজার চেষ্টা করছেন কেন? ’’ মমতা ব্যানার্জির পুলিশ-প্রশাসনই প্ররোচনা দিয়ে অশান্তি তৈরি করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। ছেড়ে কথা বলেননি বাম নেতা মহম্মদ সেলিম। তাঁর অভিযোগ, মমতা ব্যানার্জি বিজেপি-আরএসএসের হয়ে কাজ করছেন এবং পুলিশ ভাল পোস্টিং পাওয়ার আশায় এই ভাবে ধর্মঘটকে বদনাম করার চেষ্টা করেছে। আরও পড়ুন-CM Mamata Banerjee: ‘বছরে চারবার বনধ ডেকে সিপিএম সাইনবোর্ড হয়ে গেল, গুন্ডাগিরি বরদাস্ত করা হবে না’ বামেদের হুঁশিয়ারি মমতা ব্যানার্জির
এদিকে আজকের বনধ নিয়ে সাগর থেকে ফেরার পথেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ট্রেনের নিচে বোমা রেখে, বাইক পুড়িয়ে, বাস ভেঙে গুন্ডাগিরি। বনধের নামে গুন্ডাগিরি করতে দেওয়া হয়নি, হবেনা। আমি সিপিএমের মতো গুলিপন্থায় বিশ্বাস করি না। মারপিট পন্থায় বিশ্বাস করি না। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করুন। রাস্তায় নামুন। প্রতিবাদের অনেক ভাষা আছে। কোথাও গাড়ি জ্বালিয়েছে, কোথাও ট্রেনের নিচে বোমা রেখেছে। বাংলায় এসব বরদাস্ত করা হবে না। বছরে চারবার করে বন্ধ ডাকে সিপিএম। এই করতে করতে দলটা রাজ্যে সাইন বোর্ড হয়ে গিয়েছে। এর চেয়ে কেরলের সিপিএম অনেক ভাল। দেশের অর্থনীতির কথা ভাবতে হবে। বনধের কারণে একজন দোকানদারের যেমন ক্ষতি হয়। তেমনই কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এই বনধের ফলে কত ক্ষতি হচ্ছে।”