কলকাতা, ৭ এপ্রিল: প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, সাংসদ থেকে নেতা-মন্ত্রী; করোনা-যুদ্ধ মোকাবিলাতে সকলেই নিজেদের বেতনের ৩০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) আহ্বানেই এগিয়ে এসেছেন সকলে। এবার কেন্দ্রের সেই পথেই এগোক বাংলাও। মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রী এবং বিধায়কদের কাছে এই মর্মেই আবেদন জানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। কেন্দ্রের এই নীতি প্রয়োগ করা হয় রাজ্যেও, এমনটাই দাবি রাজ্যপালের। "রাজ্যের বিধায়ক এবং মন্ত্রীরাও আগামী ১ বছরের জন্য ৩০ শতাংশ বেতন কম নিয়ে তা ত্রাণ তহবিলে দান করুক", এই বক্তব্যেই একটি টুইটও করেন জগদীপ ধনকর (Jagdeep Dhankhar)।
PM, MPs, Union Ministers @narendramodi take 30% pay cut for a year to Covid-19 efforts.
President, VP and Governors also take 30% pay cut for a year.
APPEAL MLAs and Ministers in WEST BENGAL @MamataOfficial to take 30% pay cut for a year to boost govt’s Covid-19 efforts.
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) April 7, 2020
"প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীসভার সকল সদস্য এবং সাংসদেরা প্রত্যেকেই নিজেদের বেতন ৩০ শতাংশ কম নেবেন আগামী ১ বছর। করোনা মোকাবিলায় পরিস্থিতি সামাল দিতে সবরকম চেষ্টা করছে কেন্দ্র। এটা তারই একটি পদক্ষেপ। দেশের রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, রাজ্যের রাজ্যপাল, এরা প্রত্যেকেই স্বেচ্ছায় নিজেদের বেতন কমিয়েছেন। ১ বছর পর্যন্ত তাঁরা ৩০ শতাংশ কম নেবেন বেতন।" সোমবার একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, "সাংসদ উন্নয়ন তহবিলের টাকা দু'বছরের জন্য, অর্থাৎ ২০২০-২০২১ এবং ২০২১-২০২২ সাল পর্যন্ত কনসোলিডেটেড ফান্ডে জমা পড়বে। এতে মোট ৭,৯০০ কোটি টাকা জমা পড়বে MPLADS-এ।"
এদিকে মঙ্গলবার ভারতে করোনা (Coronavirus) আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছালো ৪ হাজার ৪২১-এ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২৪ জন। পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে দেশে মারণ রোগে মৃতের সংখ্যা ১১৪। সব থেকে সঙ্গীন অবস্থায় রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৯০০ ছুঁয়ে ফেলেছে। দিল্লির তবলিঘি জমাতের কারণে তামিলনাড়ুতে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৩৩। দিল্লিতে কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী ৫৪৯ জন। দেশের মধ্যে প্রথম করোনার গ্রাসে যায় কেরালা। গত সপ্তাহ পর্যন্ত আক্রান্তের নিরিখে মহারাষ্ট্রের পরে কেরালারই নাম ছিল। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮৭ জন। এরপরেই রয়েছে তেলেঙ্গানা, উত্তর প্রদেশ ও রাজস্থান। যেখানে আক্রান্তের গড় সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে।