Photo Source: Facebook

কলকাতা, ২০ জুলাই: জুলাই মাসে মাত্রাতিরিক্ত বিদ্যুতের বিল! সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন আমজনতা থেকে সেলেব এবং খোদ বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চ্যাটার্জি। কী কারণে এত বিল? সিইএসসি-র তরফে নেই কোনও স্পষ্ট জবাব। আন্দোলন-বিক্ষোভে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিল সিইএসসি। বিদ্যুৎবন্টন সংস্থা জুন মাসের বিল তিনটি ইনস্টলমেন্টে জমা দেওয়ার কথা জানিয়েছিল সংস্থা। কিন্তু তাতেও ক্ষোভের আঁচ এতটুকুও কমেনি। অবশেষে সোমবার সিইএসসি-র কর্তাদের সঙ্গে সোমবার বৈঠক করেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সিইএসসির তরফে নতুন বিল না আসা পর্যন্ত টাকা জমা না দেওয়ার বার্তা দিলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী।

মোট টাকার বিল আসা নিয়ে সিইএসসি-র বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন আমজনতা। সিইএসসির অফিসে গিয়ে কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিক্ষোভ অব্যহত ছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে সিইএসসির যুক্তি ছিল, লকডাউনের সময় তৈরি প্রভিশনাল বিল অনেক কম ছিল। বিদ্যুৎ কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, নির্দিষ্ট গাণিতিক নিয়ম মেনে বিল পাঠানো শুরু হয়েছে। এপ্রিল, মে মাসে তীব্র গরমে বিদ্যুতের খরচ বেশি হয়, তা পরিমাপ করেই পাঠানো হয়েছে বিল। সিইএসসি, এপ্রিল-মে-র বাড়তি মাশুল দিতে হবে না বলে জানিয়েছে সংস্থা।

জুন মাসের ইউনিট খরচ গ্রাহকদের জানিয়ে দেওয়া হবে এবং কীভাবে বিলের টাকা দেওয়া হবে সেটিও পড়ে জানিয়ে দেবে সংস্থা। এমনটাই জানানো হয়েছিল প্রাথমিকভাবে। যদিও এপ্রিল এবং মে-মাসের বকেয়া বিল কীভাবে নেওয়া হবে গ্রাহকদের কাছ থেকে, তা খোলসা করে জানায়নি সংস্থা। যার জেরে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। অবশেষে ময়দানে নামেন খোদ বিদ্যুৎমন্ত্রী। দু'পক্ষের বৈঠকের পর কী পদক্ষেপ নেবে সংস্থা। সেটাই এখন দেখার! তবে বেশ কিছু গ্রাহক ইতিমধ্যেই বিদ্যুতের বিল জমা দিয়ে দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে তাদের ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে বিদ্যুৎমন্ত্রীর কাছ থেকে বেশ কিছুটা সময় চেয়ে  নিয়েছেন শোভনদেব চ্যাটার্জি।