কলকাতা, ২৩ এপ্রিল: এমআর বাঙুর হাসপাতালের ঘটনায় যুবক সোমনাথ দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র দেওয়া তথ্যকে ভুল বলল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। এম আর বাঙুর হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর সমালোচনা করে টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করেন বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় সেই ভিডিও। তাতে দেখা যাচ্ছে ওই আইসোলেশন ওয়ার্ডে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের দেহ কাপড়ে মোড়া অবস্থায় দু-তিন ঘণ্টারও বেশি সময় পড়ে আছে বলে দাবি করা হচ্ছ। যিনি এই ভিডিও করেছেন তিনি নিজেও ওই ওয়ার্ডে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর আরও দাবি মৃতদেহের পাশের বেডেই রোগীকে রাখা হয়েছে।
এমনকী, হাসপাতালের মেল আইসোলেশন ওয়ার্ডে একটি বেডের সঙ্গে অন্য বেডের ফারাক যৎ সামান্য। কয়েকজনের অবস্থা খারাপ। তাঁর আরও দাবি, অন্তত ৫-৬ জন রোগীকে মারা যেতে চোখে দেখেছেন। তাঁদের প্রত্যেকের মধ্যেই করোনা উপসর্গ ছিল। বেশিরভাগই শ্বাসকষ্টে মারা গিয়েছেন। এদের রিপোর্ট আসতেই সময় চলে যাচ্ছে তিন থেকে চারদিন। ফলে বোঝা যাচ্ছে না এরা কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন কি না। আরও পড়ুন- Mukesh Ambani: ফেসবুককে ৯.৯৯ শতাংশ শেয়ার বেচে ফের এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি মুকেশ আম্বানি
The tweet from @SuPriyoBabul is completely incorrect and a misinformation. Somnath Das has not been ‘booked’ by Kolkata Police. https://t.co/az9MxPvDx6
— Kolkata Police (@KolkataPolice) April 22, 2020
এদিকে বাবুল সুপ্রিয়র গতকালের টুইটের পর কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) আসরে নামেন। টুইটারে রাজ্যের একটি হাসপাতালের ভিডিও (Video) পোস্ট করে বিস্ফোরক অভিযোগ তাঁর। এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি লেটেস্টলি বাংলা। টুইটারে যে ভিডিয়োটি কৈলাস বিজয়বর্গীয় পোস্ট করেছেন তাতে এক চিকিৎসা কর্মী (চিকিৎসক কি না তা বোঝা যায়নি) ও এক ব্যক্তির মধ্যে কথাবার্তা রয়েছে। ওই ব্যক্তি জানাচ্ছেন, তাঁক না জানিয়ে মৃতদেহ কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।