
গ্যাস অম্বলের সমস্যা এখন মানুষের নিয়মিত রুটিন হয়ে গেছে। প্রায় মানুষই গ্যাস সম্বলের সমস্যায় ভুগছেন। অনিয়মিত খাওয়া দাওয়া, অত্যধিক রিচ খাবার খাওয়া, বাইরের ফাস্টফুড জাঙ্ক ফুড খাওয়া। এই সমস্ত কারণে কর্মব্যস্ত জীবনে মানুষের শরীরে ভাষা বেধেছে গ্যাস অম্বলের সমস্যা। গ্যাস অম্বল থেকে বাঁচার জন্য সারাদিনে একাধিকবার অ্যান্টাসিড খেয়ে নিচ্ছেন । নিজের অজান্তেই শরীরের ক্ষতি করছেন। তাই গ্যাস অম্বলের সমস্যা থেকে মুক্ত হওয়া দরকার। কারণ গ্যাস এবং অম্বলের সমস্যা থেকে শরীরে আরো মারাত্মক রোগ দেখা দিতে পারে। এমনকি হার্ট অ্যাটাকের মতন সমস্যাও হয় গ্যাস থেকে। তবে বাজারে থেকে ওষুধ কিনে না খেয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে চেষ্টা করুন গ্যাস অম্বল থেকে মুক্ত হওয়ার। তবে হাতের কাছে পাওয়া একটি গাছের পাতা আপনার অম্বল থেকে মুক্তি দিতে পারে। এই গাছের পাতা দিয়ে চা করে খান ব্যস এতেই হবে কাজ। বলছেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা।। পেয়ারা পাতার থাকে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞ টা বলছেন পেয়ারা পাতায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা গ্যাস অম্বলের সমস্যা থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে পারে। বাড়বে হজম ক্ষমতা। এমনকি এসিড রিফ্লাক্স এবং আলসারের সমস্যা আস্তে আস্তে দূর হওয়ার উপায় আছে পেয়ারা পাতা সেবনে।
কিভাবে খাবেন এই পেয়ারা পাতার চা? জেনে নিন। প্রথমে জল ফুটিয়ে নিন চা তৈরীর জন্য। এক কাপ চায়ের জন্য ফুটন্ত জলে হাফ চামচ চা-পাতা দিন। ভালো করে পরিষ্কার ধোয়া তিন থেকে চারটি পেয়ারা পাতা এবার ওই জলে দিয়ে দিন। সামান্য ফোটানোর পরেই গ্যাস বন্ধ করে দিন। যারা মিষ্টি ছাড়া চা খেতে পারেন না তারা চিনি ব্যবহার না করে মিছরি অথবা মধু ব্যবহার করুন। চায় চিনি মেশালে অম্বলের সম্ভাবনা থাকে।
পেয়ারা পাতায় ফাইবার ও ফেনোলিক নামে এক ধরনের উপাদান থাকে যা রক্তে শর্করার মাত্রাও কমায়। ডায়াবেটিকদের জন্যও উপকারী পেয়ারা পাতা। শরীরের প্রদাহ কমাতেও এর ভূমিকা রয়েছে। বদহজম বা অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা যদি নিয়মিত ভোগাতে থাকে, তা হলে সকালে খালি পেটে পেয়ারা পাতার চা খেতেই পারেন।
তাই এইভাবে পেয়ারা পাতা দিয়ে চা তৈরি করে সকালে সেবন করুন। নিয়মিত সেবনে মুক্তি পাবেন গ্যাস অম্বল থেকে। তাই ঘরোয়া এবং প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি এই চা খাওয়া শুরু করে দিন বাজার থেকে আর এন্টাসিড কিনে খেতে হবে না। মুক্তি পাবেন গ্যাস অম্বলের সমস্যা থেকে। তবে এর সাথে নিয়ম করে রুটিন মেনে খাওয়া দাওয়া করুন। পেট খালি রাখবেন না।