
দিল্লি, ২৯ এপ্রিল: পহেলগাম হামলার মাস্টারমাইন্ড হাসিম মুসাকে (Hashim Musa) ধরতে পারলে ২০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। এমনই ঘোষণা করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। মুসার মাথার দাম যখন ২০ লক্ষ টাকা ধার্য করা হয়েছে,সেই সময় একের পর এক ভয়ানক তথ্য উঠে আসছে এই পাকিস্তানি জঙ্গি সম্পর্কে।
রিপোর্টে প্রকাশ, পাকিস্তানি সেনা এসএসজি গ্রুপের কমান্ডো ছিল মুসা। পাক সেনা বাহিনী থেকে সরাসরি লস্করের গ্রুপে যোগ দেয় এই মুসা (Pahalgam Terror Attack Mastermind Hashim Musa)। পাকিস্তানে (Pakistan) অত্যন্ত সহজাত পদ্ধতিতে হাসিম মুসার কমান্ডো প্রশিক্ষণ হয়। পাক সেনার চাকরি ছেড়ে কাঠাুয়া এবং সাম্বা সেক্টর হয়ে ভারতে প্রবেশ করে এই হাসিম মুসা। রাজৌরি, পুঞ্চে যে ডেরা কি গলি এলাকা রয়েছে, সেখানেই থাকতে শুরু করে এই পাক জঙ্গি।
সূত্রের খবর, ডেরা কি গলি এলাকায় লস্কর-ই-তইবার বহু সদস্য রয়েছে। আর সেখানে থেকেই জঙ্গি মডিউল চালাতে শুরু করে হাসিম মুসা নামের এই জঙ্গি। পাকিস্তানি সেনার এসএসজি-র হাতে প্রশিক্ষিত হাসিম মুসার তাই কমান্ডো প্রশিক্ষণ পুরোপুরি সম্পূর্ণ। কমান্ডো প্রশিক্ষণের পরই হাসিম মুসা ডেরা কি গলি থেকে জঙ্গি মডিউল চালাতে শুরু করে। যে জঙ্গি মডিউলের মাধ্যমে কীভাবে কাশ্মীরে আসা নীরিহ মানুষকে হত্যা করা যায়, সেই চেষ্টা চলত।
কমান্ডো প্রশিক্ষণে শিক্ষিত মুসা খুব সহজেই তাই পহেলগামে হামলা চালিয়ে, সুনিপুণভাবে তার সঙ্গী, সাথীদের নিয়ে ফের জঙ্গলে, পাহাড়ের খাঁজে লুকিয়ে পড়তে সক্ষম হয়। ফলে এই মুহূর্তে মুসা কোথায় রয়েছে,সে বিষয়ে জানতে জম্মু কাশ্মীরে জোরদার তল্লাশি শুরু হয়েছে. কোনওভাবে মুসা যাতে ভারত পেরিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করতে না পারে, তার জন্য সেনা বাহিনীর তরফে প্রাণপন চেষ্টা চালানো হচ্ছে। অর্থাৎ পাকিস্তানই যে জঙ্গিদের অবাধ বিচরণক্ষেত্র এবং বিশ্ব সন্ত্রাসের ধারণক্ষেত্র,পহেলগামে হামলার পর তা ফের প্রমাণিত।
সন্ত্রাসের 'ধারক' পাকিস্তান, পাক ভূমিতে প্যারা কমান্ডো প্রশিক্ষণের পর পহেলগাম হামলার মাস্টারমাইন্ড মুসা ঢুকে পড়ে কাশ্মীরে