ওয়াশিংটন, ৩১ জুলাই: প্রত্যাশা মতোই চিনা রকেটের (Chinese Long March 5B Rocket) ধ্বংসাবশেষ (Space Debris) ভারত মহাসাগরের উপর দিয়ে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আবার প্রবেশ করেছে। আর তারই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশাল মিডিয়ায়। ইউএস স্পেস কমান্ড (US Space Command) জানিয়েছে, শনিবার অনেকেই সোশাল মিডিয়ায় উল্কাপাতের (Meteor Showers) ভিডিও শেয়ার করেছেন। ভিডিওতে রাতের আকাশ জুড়ে লাল, নীল এবং হলুদের আলোর মেলা দেখা যাচ্ছে।
৩১ জুলাই বিপুল পরিমাণ মহাকাশ-বর্জ্যের পৃথিবীতে বিধ্বস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আগেই জানিয়েছিল সেন্টার ফর অরবিটাল অ্যান্ড রিএন্ট্রি ডেব্রিস স্টাডিজ (Centre for Orbital and Reentry Debris Studies)। এই মার্কিন অ্যারোস্পেস কর্পোরেশনের বিশেষজ্ঞদের মতে, ২৪ জুলাই চিনা লং মার্চ ফাইভ ভি রকেট উৎক্ষেপণ করেছিল। এই সাহায্যেই তিয়ানগং স্পেশ স্টেশন (Tiangong Space Station) নির্মাণের জন্য তিনটি মডিউলের দ্বিতীয়টি সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। ৫৩.৬ মিটার উচ্চতার মহাকাশ ধ্বংসাবশেষটি ওই উৎক্ষেপণের ফলাফল। আরও পড়ুন: Battlegrounds Mobile India Game Ban: নিজ নিজ অ্যাপ স্টোর থেকে ব্যাটলগ্রাউন্ডস মোবাইল ইন্ডিয়াকে সরিয়ে দিল গুগল ও অ্যাপল
সংস্থাটি জানিয়েছিল, মহাকাশের আবর্জনাটি (Space Debris) ৩১ জুলাইয়ের দিকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে প্রবেশ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। সম্ভাব্য ধ্বংসাবশেষের ক্ষেত্র হিসেবে ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
Debris from Chinese rocket lit up night sky some parts of Malaysia. US space command confirm the development China's Long March 5B (CZ-5B) re-entered over the Indian Ocean at approx 10:45 am MDT on 7/30.pic.twitter.com/BIkjamFbTz
— Sidhant Sibal (@sidhant) July 30, 2022
তবে এক্ষেত্রে আশার আলো জনবহুল স্থানে এটি ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম। এর অনিয়ন্ত্রিত প্রকৃতির কারণে একটি জনবহুল এলাকায় ধ্বংসাবশেষ অবতরণ করার সম্ভাবনা নেই। সাধারণ নিয়ম হল যে একটি বড় বস্তুর মোট ভরের ২০-৪০ শতাংশ মাটিতে পৌঁছবে, যদিও এটি বস্তুর নকশার উপর নির্ভর করে। বিশ্বের জনসংখ্যার ৮৮ শতাংশেরও বেশি মহাকাশ আবর্জনার সম্ভাব্য ধ্বংসাবশেষের পদচিহ্নের নীচে বাস করে বলে এরোস্পেস মঙ্গলবার জানিয়েছে। ২০২১ সালের মে মাসে আরেকটি লং মার্চ রকেটের টুকরো ভারত মহাসাগরে পড়েছিল। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।