
বিটের পুষ্টিগুণ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অন্যতম। বিটে এমন এমন গুন রয়েছে যা ক্যান্সারের মতন মারন রোগকেও প্রতিরোধ করে। বিট আমাদের শরীরের রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে। এটি খেলে আমাদের পাচনতন্ত্রও ভালো থাকে। বিট মস্তিস্কের সাস্থ্যের জন্য অন্যতম। বিট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তবে এই বিট কিন্তু সবার খাওয়া যায় না।
যাদের কিডনিতে পাথরের সমস্যা বা হাইপারক্সালুরিয়া আছে, তাঁদের জন্য বিট খাওয়া কিছুটা বিপজ্জনক হতে পারে। বিটে উচ্চমাত্রায় অক্সালেট থাকে, যা কিডনিতে পাথর বা ক্ষুদ্র কিউটিক্যাল পাথর সৃষ্টি করতে সাহায্য করে। ফলে, যারা পূর্বেই কিডনি সংক্রান্ত অসুবিধায় ভুগছেন, তাঁদের উচিত বিট বা এর প্রসেস করা খাদ্য থেকে বিরত থাকা।
যাদের ডায়েবেটিস আছে তাদেরও বিট থেকে বিরত থাকা উচিত।
হৃদযন্ত্রর সাথে সম্পর্কিত রোগীদের ক্ষেত্রে, চিকিৎসকের সুনির্দিষ্ট পরামর্শ ছাড়া বেশী পরিমাণে বিট খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
আরও একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় হলো, যাদের রক্তচাপ কম থাকে, তাঁদের জন্য বিটের অতিরিক্ত গ্রহণ সমস্যার কারণ হতে পারে। বিটে থাকা নাইট্রেট রক্তচাপ কমিয়ে দেয় যা সাধারণ মানুষের পক্ষে উপকারী হলেও, কম রক্তচাপের ক্ষেত্রে মাথা ঘোরা, দুর্বলতা ও স্নায়ুবিকার ঘটাতে পারে। তাই, এই ধরনের রোগ থাকলে বিট খাওয়াকে নিয়ন্ত্রিত করা উচিত।