বিশ্বকাপে বড় নজির গড়লেন দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা উইকেটকিপার-ব্যাটার কুইন্টন ডি'কক। শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়ার পর এবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করলেন ডি কক। শুধু সেঞ্চুরি নই, ডবল সেঞ্চুরির কাছাকাছিও পৌঁছে যাচ্ছিলেন তিনি। শেষ অবধি স্লোয়ার বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ১৭৪ রান করে আউট হন ৩০ বছরের ডি'কক। বিশ্বকাপের ৪৮ বছরের ইতিহাসে ডি কক-ই এখন উইকেটকিপার ব্যাটার হিসেবে সর্বোচ্চ রানের অধিকারী। এতদিন এই রেকর্ডটি ছিল অস্ট্রেলিয়ান তারকা উইকেটকিপার ব্যাটার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট (১৪৯)-র দখলে।
দক্ষিণ আফ্রিকা নির্ধারিত ৫০ ওভারে করল ৩৮২। চলতি বিশ্বকাপে এখন সর্বাধিক তিনটি রানই প্রোটিয়াদের। চলতি বিশ্বকাপে টিম ইন্ডিয়া যদি রান তাড়া করে জেতার রাজা হয়, তাহলে প্রথমে ব্যাট করে বড় রান করার রাজা অবশ্যই দক্ষিণ আফ্রিকা।
চলতি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমে ব্য়াট করে যত রান তুলল
South Africa are operating at a different level in this World Cup when they bat first 🌟https://t.co/34ueT5Ocw3 #SAvBAN #CWC23 pic.twitter.com/IO3l02G0yX
— ESPNcricinfo (@ESPNcricinfo) October 24, 2023
মঙ্গলবার ওয়াংখেড়েতে বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করলেন ডি কক-হেনরিক-মিলাররা। ৩৬ রানের মধ্যে দুটো গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ার পর তৃতীয় উইকেটে হাল ধরেন ডি কক ও অধিনায়ক মার্করাম। ডি কক-মার্করাম তৃতীয় উইকেটে ১৩১ রান যোগ করে দলকে ভাল জায়গায় নিয়ে যান। মার্করাম (৬০) ভাল ইনিংস খেলে ফেরার পর হেনরিক ক্লাসনকে নিয়ে তাণ্ডব চালিয়ে যেতে থাকেন প্রোটিয়া কিপার। চতুর্থ উইকেটে ডি'কক-ক্লাসেন যোগ করেন ৭৫ বলে ১৪২ রান। ৭টা ওভার বাউন্ডারি, ১৫টি বাউন্ডারি হাঁকানোর পর হাসান মেহমুদের নিরীহ বলে আউট হন ডি কক। এরপর ইনিংসের গতি বাড়ান ডেভিড মিলার ও ক্লাসেন। ৪৯ বলে ৯০ রান করে স্লোয়ার বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে শেষ ওভারে আউট হন ক্লাসেন। ১৫ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন মিলার। শুরুর দশ ওভার ছাড়ি বাকি সময়টা একেবারে খারাপ বোলিং করেন বাংলাদেশের বোলাররা। মুস্তাফিজুর রহমান ৯ ওভারে দেন ৭৬ রান। শফিকুল ইসলামও ৯ ওভারে ৭৬ রান দেন। হাসান মেহমুদ ৬ ওভারে দেন ৬৭ রান। সাকিব ৯ ওভারে দেন ৬৯ রান।