সেই ওভার থ্রোয়ে চার হওয়ার পর স্টোকস। (Photo Credits-Twitter)

লন্ডন,১৫ জুলাই: এত উত্তেজনার ওয়ানডে ম্যাচ এর আগে দেখেনি ক্রিকেট বিশ্ব। যেমন তেমন নয়, একেবারে বিশ্বকাপের মেগা ফাইনালেই দেখা গেল ওয়ানডে-র ইতিহাসে সবচেয়ে উত্তেজক ম্যাচ। ৫০ ওভারের ম্যাচ টাই হওয়ার পর, সুপার ওভারেও টাই। দুটো ক্ষেত্রেই শেষ বলে রান আউট। যে কোনও থ্রিলার ছবির চিত্রনাট্যকে হার মানাল, লর্ডসের ইংল্যান্ড-নিউ জিল্যান্ড ফাইনাল। আর এই ম্যাচের ঘোর কাটছে না ক্রিকেটবিশ্বের।

সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে লর্ডসের ফাইনালের কথা। আসলে ম্যাচটা নিয়ে আলোচনার এত বিষয় যে কথা শেষ হওয়ার নয়। গতকাল ফাইনালের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে দেখা হচ্ছে, ৫০ ওভারের ম্যাচের একেবারে শেষ ওভারের চতুর্থ বলে স্টোকসের ব্যাট প্রতিহত হয়ে ওভার থ্রোয়ে চার রানের ঘটনাটা। ওই চারটা না হলে ম্যাচ সুপার ওভারে গড়ানোরই কথা নয়। আরও পড়ুন-দেখুন ফাইনালে শেষ ওভারের নাটক

কারণ ওভার থ্রো-য়ে উপড়ি এই বাউন্ডারি না পেলে ইংল্যান্ড শেষ দু বলে করতে হত সাত রান, স্টোকস ক্রিজে থাকলেও যা মোটেও সহজ ছিল না। স্টোকস নিজেও বললেন, তিনি এই ওভার থ্রোয়ের ঘটনার জন্য তাঁর বাকিটা জীবন নিউ জিল্যান্ডের কাছে তিনি ক্ষমাপ্রার্থী থাকবেন। কিন্তু ডিপ মিড উইকেট থেকে কিউই ফিল্ডারের ছোঁড়া বলটা দু রান নিতে যাওয়া স্টোকসের ব্যাটে প্রতিহত হয়ে বাউন্ডারি টপকানোর ঘটনাটা নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে।

বিতর্কটা হচ্ছে ক্রিকেটর একটা আইনের জন্য। যেখানে বলা হচ্ছে, এমন ঘটনায় কোনও দল পাঁচ পাবে নাকি ছয় তা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আম্পয়ারের ওপর। ফাইনালে শ্রীলঙ্কার আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা ইংল্যান্ডকে ছয় রান দিয়েছিলেন। কারণ স্টোকস দৌড়ে দু রান নিয়েছিলেন, আর ওভার থ্রো-য়ে হয় বাউন্ডারি।

ক্রিকেটে ১৯.৮ ধারা বলছে, ফিল্ডারের ওভার থ্রোয়ে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় রানটা ধরা হবে না, শুধু প্রথম রানটা সম্পূর্ণ করা আর বল বাউন্ডারি হওয়ায় ইংল্যান্ড পাবে পাঁচ রান। কারণ ব্যাট প্রতিহত হওয়ার আগে স্টোকস রানটা একেবারে সম্পূর্ণ করতে পারেননি।''