Afghanistan National Cricket Team Boycott: দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রীড়ামন্ত্রী গেইটন ম্যাকেঞ্জি (Gayton McKenzie) আফগানিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচ বয়কট করার জন্য জাতীয় পুরুষ ক্রিকেট দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তালিবান শাসনে আফগানিস্তানে নারীদের বিরুদ্ধে চলমান নিপীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা উল্লেখ করে ম্যাকেঞ্জি বয়কটের পক্ষে দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত বর্ণবাদবিরোধী কর্মী ও ইংল্যান্ডের প্রাক্তন মন্ত্রী পিটার হেইনের (Peter Hain) একটি খোলা চিঠির পর বয়কটের আহ্বান জোরদার হয়। ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার (সিএসএ) প্রধান ফোলেতসি মোসেকিকে (Pholetsi Moseki) লেখা এক চিঠিতে আফগানিস্তানে নারীদের ওপর আরোপিত কঠোর বিধিনিষেধের কথা তুলে ধরেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষা, কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্যসেবা এবং খেলাধুলাসহ অন্যান্য মৌলিক স্বাধীনতার ওপর নিষেধাজ্ঞা। তিনি আইসিসিতে আফগান নারী ক্রিকেটারদের দুর্দশার বিষয়টিও তুলে ধরেন এবং ক্রিকেট খেলতে ইচ্ছুক আফগান নারী ও মেয়েদের জন্য প্রতি সিএসএকে বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন। ENG vs AFG, Champions Trophy 2025: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইংল্যান্ড বনাম আফগানিস্তান বয়কট করতে চাপের মুখে ইসিবি, কিন্তু কেন?
ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা কেন আফগানিস্তানকে বয়কট করছে না
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আফগানিস্তানকে বয়কট করার দক্ষিণ আফ্রিকা আহ্বানের আগে আইসিসি ইভেন্টে আফগান পুরুষ দল বয়কটের জন্য ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলকেও বলা হয়। কিন্তু দুইদলের কেউই এই পদক্ষেপ নিচ্ছে না। কারণটা সহজ। ইংল্যান্ড দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেটে আফগানিস্তানের সাথে খেলছে না তবে আইসিসি ইভেন্টে তাদের বয়কট করা মানে নিজের ক্ষতি করা। আইসিসি তাদের টুর্নামেন্টে একটি ম্যাচ এড়িয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে তবে এটি করার অর্থ আফগানিস্তান পুরো পয়েন্ট পাবে। একই শর্ত প্রযোজ্য দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষেত্রেও। সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জনের জন্য প্রতিটি দলের মাত্র তিনটি গ্রুপ ম্যাচ রয়েছে এবং কেবল একটি গ্রুপের শীর্ষ দুটি দল শেষ চারে পৌঁছাবে, কোনও দলই ম্যাচে অংশ না নিয়ে পুরো পয়েন্ট হারাতে চায় না।
যদিও অতীতে ক্রিকেট দলগুলো নৈতিক কারণে কয়েকটি দলের বিপক্ষে ম্যাচ বয়কট করেছে। অস্ট্রেলিয়া এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিরাপত্তার কারণে ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলতে শ্রীলঙ্কা সফর করতে অস্বীকার করেছিল, যার ফলে দ্বীপরাষ্ট্রটি চারটি পূর্ণ পয়েন্ট অর্জন করেছিল। ২০০৩ বিশ্বকাপে হারারেতে জিম্বাবয়ের বিপক্ষে ম্যাচ বয়কট করেছিল ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ড ভেন্যু পরিবর্তন করতে চেয়েছিল তবে শেষ পর্যন্ত জিম্বাবয়ের কাছে পুরো পয়েন্ট দিতে হয়।