Champions Trophy 2025: বহুল প্রত্যাশিত ২০২৫ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অনিশ্চয়তায় ডুবে গেছে। যার ফলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এখন মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির হুমকির মুখোমুখি হতে চলেছে। পাকিস্তানে আয়োজিত হলে এই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে ভারত রাজি নয়। সেই ঘিরে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা। ব্যাপারটি এখন এমন একটি অবস্থান চলে গেছে যার ফলে ইভেন্টটি হয় স্থানান্তরিত হবে না হয় বাতিলও হতে পারে। এই পরিস্থিতি পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। আগামী বছর ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হওয়ার কথা। ১৯৯৬ সালের সহ-আয়োজক হিসেবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর এটি পাকিস্তানে আয়োজিত প্রথম আইসিসি ইভেন্ট হতে চলেছে। পাক ক্রিকেটের প্রধান মোহসিন নাকভি পাকিস্তানে এই আসর আয়োজনের ব্যাপারে অনড়। যদিও পাকিস্তানে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অনেক মিডিয়া রিপোর্টই রয়েছে। Champions Trophy 2025: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের অংশগ্রহণ নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলে আইসিসিকে চিঠি পিসিবির
তবে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) তাদের অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছে। চলমান নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে ভারত পাকিস্তানে দল পাঠাবে না বলে বিষয়টি একপ্রকার নিশ্চিত। এই অচলাবস্থা পুরো টুর্নামেন্টকে অশান্তির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। টুর্নামেন্ট আয়োজনের দায়িত্বে থাকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) একটি হাইব্রিড মডেলের প্রস্তাব দিয়েছে। এই মডেলে ভারত পাকিস্তানের পরিবর্তে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ম্যাচ খেলবে। কিন্তু পিসিবি দৃঢ়ভাবে এই সমঝোতা প্রত্যাখ্যান করে জোর দিয়ে বলেছে যে টুর্নামেন্টটি পুরো পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত।
টুর্নামেন্ট পিছিয়ে গেলে বা অন্য দেশে হলে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে পাকিস্তান ক্রিকেট। সূত্রের খবর, শুধু আয়োজক বাবদ ৬৫ মিলিয়ন ডলার হারাতে পারে পাকিস্তান। এর মধ্যে টিকিট বিক্রি, স্পনসরশিপ চুক্তি এবং মিডিয়া রাইটস রয়েছে। এছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতির জন্য করাচি, রাওয়ালপিন্ডি এবং লাহোরের ভেন্যুগুলি আপগ্রেড করতে যথেষ্ট বিনিয়োগ করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের জন্য ঝুঁকি বেশি, কারণ এই অঙ্কের ক্ষতি পিসিবিকে গুরুতর আঘাত করবে। আর্থিক ক্ষতি ছাড়াও যদি টুর্নামেন্ট অন্য দেশে হয় বা বাতিল হয় তবে পিসিবি আইসিসির নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে পারে। এর প্রভাব আইসিসির অন্যান্য সদস্য দেশগুলোর ওপরও পড়বে যারা তাদের ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য আইসিসির তহবিলের উপর নির্ভর করে।