ধোনি ও কাদাকনাথ চিকেন (Photo CRedits: facebook and pixabay)

চেন্নাই, ২১ ডিসেম্বর: কাদাকনাথ চিকেনকে জনপ্রিয় করতে এবার ময়দানে নেমে পড়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি (Mahendra Singh Dhoni)। ইতিমধ্যে নিজের পোলট্রি ফার্মের জন্য ২ হাজার কাদাকনাথ মুরগির বরাতও দিয়েছেন তিনি। তাহলে ২২ গজের অবসরে ভোজনরসিকদের মধ্যে কাদাকনাথ চিকেনকে জনপ্রিয় করে তোলাই কি এখন ধোনির মূল লক্ষ্য। তবে এই প্রশ্নের উত্তর পেতে বেশ কয়েকটা মাস অপেক্ষা করতে হবে। তবে এই সময়ের মধ্যে বহ মানুষ যতটা সম্ভব পারবে কাদাকনাথ চিকেন সম্পর্কে আরও বেশি জানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মধ্যপ্রদেশের জাবুয়া অঞ্চল থেকে এই কাদাকনাথ প্রজাতির মুরগি পাওয়া যায়। এই প্রজাতির মুরগির সঙ্গে পৃথক জিআই ট্যাগও রয়েছে।

কাদাকনাথ মুরগির পালক যে শুধু কালো তাই নয়। একই সঙ্গে এর মাংস ও ডিমের রংও একই। কাদাকনাথ চিকেন প্রোডিনের পরিমাণ বেশি। এমনকী ব্রয়লার-সহ অন্যান্য প্রজাতির মুরগীর থেকে এই চিকেনে চর্বির পরিমাণও কম। জাবুয়ার এই কাদাকনাথ চিকেনের স্বাদও একেবারে অন্যরকম, যা অনেকদিন আপনার জিভে লেগে থাকবে। তবে ভারতের সমস্ত হোটেল রেস্তরাঁতে এই চিকেনের জনপ্রিয়তা এখনও পৌঁছায়নি। এক টেলিফোনিক বার্তায় পুনের শেফ আরন কুটিনহো জানান, যখন আমরা চেন্নাইয়ের রেস্তরাঁতে দেশি ডি নামের কাদাকনাথ চিকেনের প্রিপারেশন গেস্টকে পরিবেশন করেছি, তখন তাঁরা সেই ডিশ খেয়ে তো একেবার মুগ্ধ হয়ে গেছেন। কাদাকনাথ চিকেনের প্রিপারেশনের দাম অগ্নিমূল্য, তাই যতই স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় হোক না কেন গেস্টরা হোটেলে এসে এর অর্ডার খুব একটা দেন না। আরও পড়ুন-Prashant Kishor: ‘পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ভাল কিছু করতে পারলে আমি আমার জায়গা ছেড়ে দেব’, টুইটারে চ্যালেঞ্জ প্রশান্ত কিশোরের

ব্রয়লারের থেকে দাম বেশি হওয়ায় এই কাদাকনাথ চিকেনের তৈরি পদের দামও হয় আকাশ ছোঁয়া। এই মাংস ব্রয়লারের তুলনায় বেশ শক্ত, তাই রান্নাও হয় ভিন্ন উপায়ে। ভাল করে রান্নানা হলে মাংস ছিবড়ে থেকে যায়। কালো রঙের মাংস নিয়ে ভারতীয়দের কোনও মাথাব্যথা নেই। তবে সেই মাংসের পদকে অবশ্যই সুস্বাদু লা জবাব ও নরম হতে হবে। এমন মাংসের পদ বানাতে বুকে তো বল রাখতেই হবে একে তো কালো তায় একেবারেই রেস্তরাঁর জন্য অফবিট।