মুম্বই, ১ ডিসেম্বর: বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসাবে সৌরভ গাঙ্গুলি (Sourav Ganguly), সচিব জয় শাহ (Jay Shah) সহ অন্য পদাধিকারীদের কার্যকালের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে সম্মত হল বিসিসিআই (BCCI)। এই বিষয়ে খুব শীঘ্রই সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আবেদন করা হবে বলে জানানো হয়েছে বোর্ডের তরফে। প্রায় তিন বছর পরে রবিবার মুম্বইয়ে (Mumbai) অনুষ্ঠিত হয় বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভা (Annual General Meeting)। সেই সাধারণ সভায় সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাবও পাস হয়ে গেল। এ দিনের সভার সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য সুপ্রিম কোর্টে যাবেন বোর্ডের কর্তারা।
বর্তমান সংবিধান অনুসারে, যা সুপ্রিম কোর্ট অনুমোদিত হয়েছে, কোনও প্রশাসক যদি বোর্ড বা রাজ্য সংস্থায় তিন বছর করে দু’বার (মোট ছ’বছর) কোনও পদে থাকেন, তা হলে তাঁকে বাধ্যতামূলক ভাবে তিন বছর ‘কুলিং অফ’-এ যেতে হত। আজকের সভায় প্রস্তাব পাস হয়েছে যে, ‘কুলিং অফ’ পিরিয়ড শুরু হোক কোনও পদাধিকারী বোর্ড বা রাজ্য সংস্থায় একটানা ৬ বছর কাজ করার পরে। এ দিনের সভায় গঠনতন্ত্রে এই পরিবর্তন আনার সওয়াল করা হয়। তিন-চতুর্থাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়ে পাস হয় এই প্রস্তাব। এই প্রস্তাব সুপ্রিম কোর্ট অনুমোদন দিলে সৌরভ গাঙ্গুলি এবং সচিব জয় শাহের মেয়াদ বাড়বে। আরও পড়ুন: UEFA Euro 2020: ইউরো কাপে ড্র ঘোষণা, জেনে নিন কোন দল কোন গ্রুপে
বিসিসিআইয়ের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমাল ( Arun Dhumal) সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেন, প্রস্তাবিত সমস্ত সংশোধনীগুলি বোর্ডের কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে এবং সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদনের পরে এটি কেবলমাত্র অন্তর্ভুক্ত হবে। তিনি বলেন, "আমরা ৭০ বছরের পুরোনো ধারা স্পর্শ করছি না। কুলিং অফ-র বিষয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে যদি কেউ রাজ্যে সংস্থা চালিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করে থাকেন তবে কেন তাঁকে কুলিং অফ পিরিয়ডে যেতে হবে। তাঁর অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো উচিত ক্রিকেটের স্বার্থে। কারণ তিনি তো বিসিসিআইতে অবদান রাখতে পারেন, তবে কেন নয়?" তিনি আরও বলেন, ""আমরা সমস্ত সংশোধনী সুপ্রিম কোর্টেের কাছে রাখব। আমরা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরব। কারণ কয়েকটি বিষয়ে আমরা যে বাস্তবিক সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি। আদালত আমাদের মতের সঙ্গে একমত হলে সংশোধনীগুলি নেওয়া হবে।" যদিও তিনিন জানান, সংশোধনীর বিষয়ে বিসিসিআই-র সংবিধানেই ব্যবস্থা রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদন নেওয়া প্রয়োজনীয় নয়।
রবিবারের সাধারণ সভায় ঠিক হয়েছে যে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের হয়ে আইসিসি-তে প্রতিনিধিত্ব করবেন বিসিসিআই সচিব তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের পুত্র জয় শাহ। আইসিসি-র চিফ এগজিকিউটিভ কমিটির বৈঠকে থাকবেন শাহ। অন্যদিকে মেয়াদ বেড়েছে পুরুষ দলের চোক রবি শাস্ত্রীর। একজন নতুন ওম্বডসম্যান এবং এথিক্স অফিসারও নিয়োগ করা হবে। এতদিন দুটি পদের কাজ করছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ডি কে জৈন। তাঁর মেয়াদ ফেব্রুয়ারিতে শেষ হচ্ছে।