Rohit Sharma (Photo Credit: @iTiwariAtul/ X)

ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজের পর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাবে টিম ইন্ডিয়া। ১০ ডিসেম্বর থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে তিনটি টি-২০, তিনটি ওয়ানডে এবং দুটি টেস্ট খেলবে ভারত। সব ফরম্যাটের দল ঘোষণার আগে পিটিআই-এর রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সংক্ষিপ্ত ফর্ম্যাটে রোহিত শর্মাকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য রাজি করানোর চেষ্টা করবে বিসিসিআই। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল থেকে বিদায়ের পর রোহিত আগেই টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্বে অনীহা দেখিয়েছেন। যদি তিনি তাঁর সিদ্ধান্তে অটল থাকেন, তবে বিসিসিআইয়ের কাছে সূর্যকুমার যাদব আরেকজন বিকল্প হিসেবে রয়েছেন। আসলে, নিয়মিত টি-২০ অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া গোড়ালির লিগামেন্টে চোট পাওয়ার কারণে আরও এক মাস মাঠের বাইরে থাকতে পারেন সেই কারণে এই জল্পনা শুরু হয়েছে। Rahul Dravid As Head Coach: ভারতীয় ক্রিকেটে প্রধান কোচের ভূমিকায় দ্রাবিড়ই, চুক্তির মেয়াদ বাড়াল সাপোর্ট স্টাফদেরও

সদ্য অনুষ্ঠিত ক্রিকেট বিশ্বকাপে যেভাবে রোহিত নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাতে বিসিসিআই আশ্বস্ত হতে পেরেছেন যে, ২০২৪ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত সাদা বলে খেলা চালিয়ে যাওয়া উচিত তাঁর। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৪ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে এই টুর্নামেন্ট। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিসিসিআই-এর একটি সূত্র জানিয়েছে, 'হ্যাঁ, হার্দিক ফিরে এলে কী হবে, তা নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কিন্তু বিসিসিআই মনে করছে, রোহিত যদি টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিতে রাজি হন, তাহলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দেবেন তিনি। যদি রোহিত রাজি না হন, তা হলে সূর্য দক্ষিণ আফ্রিকায় টি-২০ অধিনায়ক হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন।'

এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সাদা বলের লেগ থেকে বিশ্রাম চেয়েছেন ভারতের তারকা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি। তবে বোঝাই যাচ্ছে, আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোহলির নির্বাচন নির্ভর করছে আইপিএলে তিনি কেমন খেলেন তার ওপর। লোকেশ রাহুলের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। লখনউ সুপার জায়ান্টসের হয়ে কিপার-ব্যাটারের ভূমিকা ভালো পালন করলেই কেবল টি-টোয়েন্টিতে খেলবেন তিনি। এছাড়া ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টও একটা বড় ফ্যাক্টর, কারণ টেস্ট সিরিজে নামার আগে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ১১ দিনে ছয়টি সাদা বলের ম্যাচ খেলার কথা ভারতের।

তবে টেস্ট দলে রাহুল ও শ্রেয়স আইয়ার চোট কাটিয়ে দলে ফিরেছেন। ফলে অজিঙ্ক রাহানের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত, অন্যদিকে চেতেশ্বর পূজারাকে দলে নেওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। রাহানে একমাত্র উপায়ে দলে থাকতে পারেন, যদি রাহুল টেস্টে কিপিং করেন। কিন্তু অজিত আগরকরের কমিটি ৩৫ বছর বয়সী রাহানেকে সুযোগ দেবেন কি না, সেটাই এখন দেখার। তবে রাহুল উইকেটকিপিং করলে তাঁর এবং আইয়ার দু'জনেই প্রথম একাদশে জায়গা করে নিতে পারবেন।

অন্যদিকে, বোলিংয়ে পেসার জসপ্রিত বুমরাহ ইতিমধ্যেই নিজের ফিটনেস প্রমাণ করে দিয়েছেন এবং টেস্ট ক্রিকেট চালিয়ে যেতে চান। মহম্মদ শামি, মহম্মদ সিরাজ, শার্দুল ঠাকুরের মতো ফাস্ট বোলাররা দলে থাকছেন। চলতি বছরের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অভিষেক টেস্ট সিরিজে সবাইকে মুগ্ধ করা মুকেশ কুমার রিজার্ভ পেসার হিসেবে দলে জায়গা ধরে রাখতে পারেন। বিদেশের মাটিতে রবীন্দ্র জাদেজা প্রথম পছন্দের স্পিনার, আর অশ্বিন এবং অক্ষর প্যাটেল বা কুলদীপ যাদবের মধ্যে একজন স্পিনারের লাইন-আপ সম্পূর্ণ করবেন। রাহুল উইকেটকিপিং করতে রাজি না হলে দলে জায়গা পেতে পারেন কে এস ভরত।