Sunil Chhetri. (Photo Credits: X)

ভারত ফুটবল সেই আঁধারেই পড়ে থাকল। কাতারে এএফসি এশিয়ান কাপে গ্রুপের তিনটি ম্যাচের তিনটিতেই হেরে, ৬টা গোল খেয়ে অভিযান শেষ হল ভারতীয় ফুটবল দলের। মঙ্গলবার সিরিয়ার কাছে ০-১ গোলে হেরে সুনীল ছেত্রীরা মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়লেন। ম্যাচের ৭৫ মিনিট পর্যন্ত সিরিয়াকে আটকে রাখলেও শেষ অবধি খারবিনের গোলে হারল ভারত।

অস্ট্রেলিয়ার কাছে ০-২, উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে ০-৩, এরপর ফিফা ব়্যাঙ্কিংয়ে ৯১ নম্বরে থাকা সিরিয়ার কাছে ০-১ গোলে হারল ভারত। পুরো টুর্নামেন্টে একটাও গোল করতে পারলেন না সুনীল ছেত্রীরা। ২০১১ কাতার এশিয়ান কাপেও ঠিক এমনটা হয়েছিল। সেবারও গোটা টুর্নামেন্টে ভারত একটাও গোল করতে পারেনি।

এশিয়ান কাপ মূলপর্বে যোগ্যতাঅর্জন করেই খুশি থাকত হচ্ছে ভারতীয় ফুটবলকে। আবার শূন্য থেকে শুরু করতে হবে ইগর স্টিমাচের দলকে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথমার্ধের লড়াইটা ছাড়া আর বলার মত কিছুই করতে পারলেন না সুনীল ছেত্রীরা। সিরিয়াকে এদিন হারাতে পারলে নক আউটে ওঠার সুযোগ ছিল ভারতের সামনে। কিন্তু সেখানে গ্রুপ বি-তে নক আউটে উঠল অস্ট্রেলিয়া (৭), উজবেকিস্তান (৫) ও সিরিয়া (৪)। গ্রুপে সবার শেষে থেকে বিদায় নিল ভারত (০)।

দেখুন খবরটি

৫৫ বছর বাদে ২০১৯ এশিয়ান কাপ ফুটবলে থাইল্যান্ডকে হারিয়েছিল ভারত। কিন্তু এবার একটা ম্যাচেও জেতা তো দূরে থাকা, পয়েন্ট পেল না ভারত।

এএফসি এশিয়ান কাপে ভারতীয় ফুটবল দলের পারফরম্যান্স

১৯৬৪ ইজরায়েল: ৩টি খেলে ২টি-তে জয়, ১টি হার। রানার্স হয় ভারত, চ্যাম্পিয়ন হয় ইজরায়েল।

১৯৮৪ সিঙ্গাপুর: ৪টি ম্যাচ খেলে একটি ড্র, ৩টি হার। কোন গোল দেয়নি, হজন করে ৭টি গোল। এক পয়েন্ট সংগ্রহ করে সবার শেষে থাকে।

২০১১ কাতার: ৩টি ম্যাচ খেলে তিনটেই হার। ৩টি গোল দেয়, হজম করে ১৩টি গোল। গ্রুপে সবার শেষে।

২০১৯ ইউএই: গ্রুপ লিগ থেকে বিদায়। ১টি জয়, ২টি হার। ৪টি গোল দেয়, হজম করে ৪টি। গ্রুপে সবার শেষে থাকে।

২০২৩ কাতার: গ্রুপ লিগ থেকে বিদায়। ৩টি ম্যাচ খেলে তিনটিতেই হার। ৬টি গোল হজম। গ্রুপে সবার শেষে থাকে।